আপডেট :

        আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দোকান ঘরে দুর্বৃত্তদের হামলা ব্যাপক ভাঙচুর

        ব্যাংক থেকে কোটি টাকা নিয়ে উধাও শ্রীকান্ত নন্দী

        আইইউবিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু; বিজ্ঞানী সালিমুল হক স্মারক বক্তৃতা

        আইইউবিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু; বিজ্ঞানী সালিমুল হক স্মারক বক্তৃতা

        ইসরায়েলকে গাজা যুদ্ধের ইতি টানতে হতে পারে

        মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট প্রত্যাহার;মতামত জানালেন বাইডেন ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রী

        ইরানি প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ফোনালাপ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

        সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার কবর ভাঙচুর

        মারা গেলেন ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়

        শাহরুখ মেয়ের পেছনে ঢালতে হচ্ছে ২০০ কোটি!

        নারায়ণগঞ্জে গান্দিঘাটে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি ও সহযোগিতায় দেশ পরিচালনায় যাত্রা মসৃণ হচ্ছে।

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি ও সহযোগিতায় দেশ পরিচালনায় যাত্রা মসৃণ হচ্ছে।

        ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের ওল্ড স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন লেগেছে

        ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের ওল্ড স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন লেগেছে

        সবকিছু যেন এক রাতেই পরিষ্কার হয়ে গেলো

        সালমানের বাড়িতে হামলা

        দেশে ফের বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য

        স্থায়ী জামিনের আবেদন; ডঃ ইউনূস

        আজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে যাবেন ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূস

আইসিটির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ঘটাতে বহি:বিশ্বে প্রচারণা জরুরী: ওয়াশিংটনে গোলটেবিল আলোচনা

আইসিটির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ঘটাতে বহি:বিশ্বে প্রচারণা জরুরী: ওয়াশিংটনে গোলটেবিল আলোচনা

প্রযুক্তিখাতে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে,  প্রতিবছর ভারত আয় করছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। তাদের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০ বিলিয়ন ডলার। যেখানে বাংলাদেশ বছরে আয় করছে এখন ৪০০-৫০০ মিলিয়ন ডলার।২০২১ সালের মধ্যে, সরকার ব্যাপক পরিকল্পনার মাধ্যমে এটাকে ৫ বিলিয়ন ডলার উন্নীত করার চেষ্টা করছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আউটসোর্সিং এর বাৎসিরক বাজার প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার। সারা বিশ্বের বাজার ৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এই বিশাল কর্মবাজারে ঢুকতে বাংলাদেশের যে উদ্যোগ, সেটাকে কিভাবে বিস্তৃত করা যায়, এবং সেলক্ষে করনীয় কি, তার প্রেক্ষাপট নিয়েই সম্প্রতি ওয়াশিংটনে একটি প্রযুক্তি বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্টিত হয়েছে।

বাংলাদেশী মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান পিপল এন টেক এর উদ্যোগে, ২৬ অক্টোবর সন্ধায় এই গোলটেবিল অনুষ্টিত হয়, যেখানে প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন ওয়াল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন সহযোগীর ভুমিকা পালন করে।  উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনে প্রযুক্তি বিষয়ের উপর এধরনের আয়োজন এটাই প্রথম।

ডিপ্লোমেটিক করেসপডেন্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’ ডিকাব এর সভাপতি ডেইলি স্টারের কুটনৈতিক প্রতিবেদক রেজউল করিম লোটাস আর ডিকাবের সাবেক সভাপতি ইত্তেফাক এর কুটনৈতিক এডিটর মাইনুল আলম এই আলোচনায় বিশেষ বক্তা হিসেবে তাদের অভিমত তুলে ধরেন। পিপল এন টেক এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর হানিপ এই আয়োজনের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
 
‘বাংলাদেশ সরকার আইসিটি বা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে জনশক্তি বৃদ্ধি করে, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের একটি ধারনা নিয়ে কাজ করছে, যেটি সরকারী শীর্ষ পর্যায়ের ব্যাক্তিদের মুখ থেকে প্রায়শ শোনা যায়। প্রযুক্তি খাতের এই চতুর্থ বিল্পবের ধারণাটি নতুন, তবে এর বাস্তবায়ন সম্ভব। সেক্ষেত্রে, এই ধারনাটি এবং ধারনার স্বপক্ষে গৃহীত পদক্ষেপ আর করনীয়গুলি বহি:বিশ্বে মার্কেটিং বা প্রচার করতে হবে। সেটা হলেই, প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অর্জনগুলি বিশ্ব পরিমন্ডলে জানানোর সুযোগ হবে। আর সেই প্রচারণা থেকেই প্রচুর আউটসোর্সিং এর কাজ আসতে পারে বাংলাদেশে।‘- মুল প্রবন্ধে বলেন, পিপল এন টেক এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধাণ নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর হানিপ।

বিশেষ বক্তারা,  বাংলাদেশে আইসিটি বিল্পব বা চতুর্থ বিপ্লবের স্বপক্ষে প্রবাসীদের করনীয় কি সেটা জানতে চান। তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পেশা ও আউটসোর্সিং বাড়ানোর পথে সরকারী উদ্যোগের পাশে প্রবাসী উদ্যোক্তারাও সমানভাবে অংশ নিতে পারে। বাংলাদেশের অর্জনগুলিতে প্রযুক্তির সবচে বড়বাজার যুক্তরাষ্ট্রে যথাযথ প্রচারণা এবং আমাদের কর্মদক্ষতার বিষয়গুলিকে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য, দরকার ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা। যেখানে, বাংলাদেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্টান, বেসিস, কম্পিউটর কাউন্সিল সর্বপরি বাংলাদেশের কনস্যুলেট অফিস গুলি বড় সহায়তাকারীর ভুমিকা পালন করতে পারে বলে জানান  পিপল এন টেক এর প্রধান নির্বাহী আবু বকর হানিপ। এমনকি বাংলাদেশের প্রযুক্তিবাজার সম্প্রসারণে পিপল এন টেক-সরকারের পক্ষ হয়েও কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। সার্বিকভাবে, প্রযুক্তিখাত সম্প্রসারন করে, চতুর্থ বিপ্লব ঘটাতে বহি:বিশ্বে যে প্রচারণা প্রয়োজন, যেখানে কতিপয় করনীয় তুলে ধরেন আবু বকর হানিপ তার মুল প্রবন্ধে।যেগুলি নিন্মরুপ:

 এক. বিদেশে বাংলাদেশের এর দূতাবাসগুলিতে  কর্মাশয়িয়াল উইং এর মাধ্যমে আইটি বিষয়ক নিয়মিত র্কাযক্রম ছাড়াও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও বেসিস এর সহায়তায় স্থায়ীভাবে আইটি বিষয়ক বিশ্ব র্মাকটিং পরকিল্পনা ও বাস্তবায়নের র্কাযক্রম পরিচালনা করা ।

দুই. বহি:র্বিশ্বে আইটি আউটর্সোসিং  মার্কেটে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলির বিক্রি এবং পরিচিতি বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশী আইটি পার্ক গুলিতে বিদেশী ক্রেতা বা বড় প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করা। সেই সাথে তাদেরকে সরকারী যে পরিকল্পনা অর্থাৎ ২০১৮ সালের মধ্যে ১০ লাখ প্রযুক্তি পেশাজীবি তৈরীর প্রকল্প ব্যাখ্যা করা জরুরী। সেই আলোচনায় নারীর ক্ষমতায়ন বা এই প্রযুক্তি উদ্যোগে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহনের বিষয়টি ব্যাপকভাবে উল্লেখ করার জরুরী। নারী কমীরা যদি ব্যাপকভাবে প্রযুক্তি খাতে সক্রিয় হয়, তাহলে একদিকে বহি:বিশ্বে যেমন ইতিবাচক প্রচার পাবে, তেমনি নারীরা কর্মক্ষেত্রেও বেশি অবদান রাখতে পারবে। যৌথ আয়ের মাধ্যমে পারিবারিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।

তিন.  বিদেশে সকল সম্ভাবনাময় মার্কেটে অনিয়মিত সেমিনার বা অংশগ্রহন ছাড়াও স্থায়ীভাবে নিয়মতি প্রতিনির মাধ্যমে মার্কেটিং অব্যহত রাখা।

চার.  যুক্তরাষ্ট্রে আউটসোর্সিং মার্কেটে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করা। কারণ, সমগ্র বিশ্বের আউট সোর্সিং খাতের ৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে, যারমধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে  কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই।

বৈঠকে উপস্থিত সকলেই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার কথা জানান। টেকনাফ এলএসসি’র পেসিডেন্ট জনাব ফয়সাল কাদের ২০০০ সালে আউটসোর্সিং ধারনার প্রথম দিকের একজন প্রকৌশলী হিসেবে তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। প্রযুক্তবিদ, জনাব আলিম জানান, হত ২৬ বছর ধরে, তার প্রতিষ্ঠান সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, অথচ এই অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে বাংলাদেশের প্রযুক্তি কর্মবাজার বিকাশের পথে কাজে লাগানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। ভয়েস অফ আমেরিকার সাংবাদিক আনিস আহমেদ বলেন, আমি জেনেছি, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭০ ভাগই তরুণ এব যাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। এই তরুণ জনগোষ্ঠিকে যদি সঠিক ভাবে প্রযুক্তি খাতে সক্রিয় করা যায় তাহলে বাংলাদেশ বদলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিখাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পিপল এন টেক প্রশিক্ষন আর চাকুরী সরবারহের যে ভুমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্রে, সেই ভুমিকা তারা দেশেও রাখতে পারে কিনা, সেই বিষয়ে নিজের মত তুলে ধরেন তিনি। 

পিপল এন টেক এর প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ ছাড়াও এই গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভয়েস অফ আমেরিকার সাংবাদিক ফকির সেলিম,  রেদোয়ান চৌধুরী, এন্থনি পিউস গমেজ, জাহিদ রহমান, সীমা খান, ড. বদরুল খান, ইকবাল চৌধুরী, আবু সাঈদ মাহফুজ, মুশতাক আহমেদ, নাজির উল্লাহ, তাহমিদ রব, শরীফ মহসিন, প্রিয়লাল কর্মকার, আব্দুল আলী, সরোজ বড়ুয়া এং মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।


এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর