আপডেট :

        মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা

        যুক্তরাষ্টের শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে

        যুক্তরাষ্টের শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে

        র‍্যাবের মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ

        বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত

        কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কতজন?

        বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এশিয়া অঞ্চল

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

        বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ বুধবার রাজধানী ঢাকা শীর্ষ ১০ এর বাইরে

        লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবি

        থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রাজধানী ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

        গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে রাতে

        ২ হাজার ডলার দাম কমলো টেসলা গাড়ির

        যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

        মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপত্তিতে আছে জর্ডান

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার সুদ বা মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার

যুক্তরাষ্ট্রে যে কারণে করোনাভাইরাসের মহামারী

যুক্তরাষ্ট্রে যে কারণে করোনাভাইরাসের মহামারী

করোনাভাইরাস মহামারীতে চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষদেশ হিসেবে রয়েছে দেশটি।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩৫৫জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৯ হাজার ৬৮৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭১ জন মার্কিন নাগরিক। ইতিমধ্যে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন।

চীনের আসা সাড়ে চার লাখ পর্যটকের ভ্রমণই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। চীনা নববর্ষের প্রাক্কালে করোনার রহস্যময় নিউমোনিয়ার মতো রোগ (তখনও অজানা) ছড়িয়ে পড়ার পর এশিয়ার দেশটি থেকে এই বিপুল সংখ্যক পর্যটক সরাসরি ফ্লাইটে আমেরিকায় এসে পৌছায়। এর মধ্যে করোনার উপকেন্দ্র খ্যাত হুবেই প্রদেশের উহান শহরের কয়েক হাজার মানুষ রয়েছে।

এমনকি মার্কিন মুলুকে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও অন্যান্য দেশের আরও অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক ঢুকে পড়ে। তারা লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, নিউইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটল, নেওয়ার্ক ও ডেট্রয়েটের মতো ব্যস্ত বিমানগুলোতে নেমেছে আর সাধারণ মার্কিনিদের সঙ্গে মিশে গেছে।

গত সপ্তাহ পর্যন্ত বিদেশীদের এই স্রোত অব্যাহত ছিল। এদের মাধ্যমেই আমেরিকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার বীজ।

চীন-যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের ফ্লাইট ডাটা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু চীন থেকেই নয় চীনের থেকে আরও বেশি করোনাপীড়িত ইতালি ও স্পেন ছাড়াও আরও কয়েকবটি দেশের লাখ লাখ পর্যটক এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক ট্রাভেল ডাটা অনুসারে, করোনার দাপটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে ৩০ লাখ ভ্রমণকারী। করোনার ক্রান্তিকাল ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি-এই তিন মাসে কিভাবে এই বিশাল সংখ্যক পর্যটক প্রবেশ করলেও তাদের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষাই করা হয়। মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কল্পনাই করতে পারেননি যে, গোপনে করোনা বহনকারী বিদেশ থেকে আসা এসব নাগরিকই তাদের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

ওয়াশিংটনের অভিযোগ, প্রথম থেকেই করোনার তথ্য গোপন করেছে বেইজিং। আর ডিসেম্বর নয়, তার আগেই দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। এভাবে তাদের মাধ্যমেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয় ২০ জানুয়ারি। এর দুই সপ্তাহ পর ২ ফেব্র“য়ারি কয়েকটি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপরও বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়নি।

ট্রাভেল ডাটার তথ্য মতে, লকডাউন ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি শহরে অন্তত ১ হাজার ৩০০ ফ্লাইট পৌছায়। আর ২ তারিখের লকডাউরের পরও বেইজিং থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো ও নিউইয়র্কে আরও ২৭৯টি ফ্লাইট আসে। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এরপরও বিমানবন্দরে ওইসব যাত্রীদের যথাযথভাবে স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশ থেকে আসা এসব ব্যক্তিদের আসলে কতজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তা নিণর্য় করা মুশকিল। তবে এটা সত্য যে, তাদের কিছু অংশের কোনো উপসর্গই ছিল না। এসব নাগরিকদের সবচেয়ে বেশি গেছেন নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও সিয়াটলের বড় বড় শহর।

তবে আশঙ্কার কথা হলো, তারা সংখ্যায় এত বেশি যে, ধারণা করা হচ্ছে তারা অন্যান্য শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছেন। করোনা রুখতে এখনও পুরো যুক্তরাষ্ট্র লকডাউন করা হয়নি। মাত্র ৩২টি রাজ্যে লকডাউন চলছে।

ডা. এ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, এই মহামারী ঠেকাতে কেন পুরো যুক্তরাষ্ট্রকে লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে না-তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, দেশে লাফিয়ে করোনা রোগী বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যু। তাই এখনই দেশকে লকডাউনের আওতায় আনা জরুরি।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/সিসি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত