আপডেট :

        গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে রাতে

        ২ হাজার ডলার দাম কমলো টেসলা গাড়ির

        যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

        মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপত্তিতে আছে জর্ডান

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার সুদ বা মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার

        পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার

        কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আলী আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ

        ক্যাসিনোকাণ্ডের প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন

        যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিপরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস

        ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের ধরপাকড়

        দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে

        রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফের আরও ৭ সহযোগী গ্রেপ্তার হলেন

        স্বর্ণের দাম কমলো

        ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এবং সেটি দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষন

আমার অভিনয়শিল্পী হওয়ার পেছনে শ্রীদেবীর অবদান রয়েছে : প্রিয়াঙ্কা

আমার অভিনয়শিল্পী হওয়ার পেছনে শ্রীদেবীর অবদান রয়েছে : প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও শ্রীদেবী

অনেকটা হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী। তার মৃত্যুতে শোকাহত তার পরিবার, সহকর্মী ও ভক্তরা। ননদের ছেলের বিয়েতে দুবাই গিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। সেখানেই দুর্ঘটনাবশত বাথটাবে ডুবে তার মৃত্যু হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবর শুনে যারা সবচেয়ে আগে শোক প্রকাশ করেন তাদের একজন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এবার টাইম ম্যাগাজিনে শ্রীদেবীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি।

প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘তিনি রুপালি পর্দার জন্যই জন্মেছিলেন। একজন শিল্পী হিসেবে তিনি মাত্র ৪ বছর বয়সে ডাক পেয়েছিলেন, সিনেমার সেট খেলার জায়গায় পরিণত করেছিলেন। পরিচালকরা ছিল তার বন্ধু এবং ৭০ মিলিমিটার সিনেমা ছিল তার ক্যানভাস। তার হিসেবে অন্য কোনো পথ ছিল না। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় আম্মা ইয়াঙ্গার আয়ুপপান। তবে শ্রীদেবী হয়ে ভারতীয় সিনেমার ধারা বদলে দিয়েছিলেন তিনি।

ক্যামেরার সঙ্গে শ্রীদেবীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল এবং এটিও তাকে এমনভাবে ভালোবেসেছিল যা অন্য কাউকে বাসেনি। তার মুখভঙ্গির প্রতিটি দিক এবং একইসঙ্গে তার চোখের ভঙ্গি খুব নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে। তিনিও বিনিময়ে একে একইরকম ভালোবাসা দিয়েছেন। সাধারণত শ্রীদেবী খুবই লাজুক ও শান্ত তবে এটি থেকে বেরিয়ে এসে তিনি যে পারফরম্যান্স করেছেন তাতে দর্শক শ্বাসরুদ্ধ হয়ে গেছেন। তারা চাইত তার নাচ যেন শেষ না হয়, একটু বেশি সময় চলতে থাকুক।

২৪ ফেব্রুয়ারি ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত শ্রীদেবী ছিল ভারতের প্রথম নারী সুপারস্টার। পাঁচ দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে ৩০০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ভারতের বিভিন্ন ভাষার (তেলেগু, তামিল, কন্নড়, মালায়ালাম ও হিন্দি) সিনেমার মাধ্যমে তিনি বিশ্বের দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। সহ-অভিনেতার সাহায্য ছাড়া তিনি নিজেই প্রত্যেক সিনেমায় খ্যাতি অর্জন করেছেন, দর্শক টেনেছেন এবং বক্স অফিস সচল রেখেছেন।

সবাই তাকে পছন্দ করত এবং তার মতো হতে চাইত। তিনি ছিলেন শিশুসুলভ, প্রাপ্তবয়স্ক, মজার, গম্ভীর, রূপসী ও আবেদনময়ী অর্থাৎ একজন প্রকৃত অভিনয়শিল্পী। শ্রীদেবী এমন একটি ধারা রেখে গেছেন যা আমাদের সবার নাগালের বাইরে। এর ভিত্তি তৈরি হয়েছে আত্মত্যাগ, প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম এবং তার প্রতি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদের মাধ্যমে। 

তিনি আমার শৈশবজুড়ে ছিলেন। আমার অভিনয়ে আসার একটি কারণও তিনি। প্রথম যখন তার মৃত্যুর খবর শুনি, আমি নিশ্চল হয়ে গিয়েছিলাম। আমি শুধু তখন তার সিনেমার গানগুলো শুনেছি, তার আগে সাক্ষাৎকারগুলো পড়েছি এবং তার সিনেমার সেরা দৃশ্যগুলো বারবার দেখেছি। জানি, আমি একা নই, তার লাখ লাখ ভক্ত একইরকম আঘাত পেয়েছেন। তার সঙ্গে ভক্তদের বন্ধন এতটাই মজবুত ছিল যে আমাদের সবার তাকে ঘিরে স্মৃতি রয়েছে। 

তিনি আমাদের ছেড়ে খুব দ্রুত চলে গেছেন। তার সঙ্গে আমার শেষ স্মৃতি গত বছর ডিসেম্বরে একটি অনুষ্ঠানের লাল গালিচায়। ক্যামেরার আলোর ঝলকানির মাঝে তিনি আমাকে শক্ত করে আলিঙ্গন করেছিলেন এবং উচ্ছ্বাস নিয়ে তার দুই মেয়ে জানভি ও খুশিকে নিয়ে কথা বলছিলেন। তাকে খুবই আন্তরিক মনে হয়েছিল এবং তিনি আমার সঙ্গে আবার দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

দেবদূতরা কখনই মরে না। তারা শুধু অন্য দুনিয়ায় জ্বলজ্বল করে। তাই আমি তাকে দেখার জন্য আকাশে তাকিয়ে থাকি। আপনার জাদুর জন্য ধন্যবাদ শ্রীদেবী ম্যাডাম। আজীবন আপনার ভক্ত হয়ে থাকব।’


এলএবাংলাটাইমস//এলআরটি  

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত