আপডেট :

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        দেশে একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে

        ইউক্রেনে গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

        আবহাওয়া বিবেচনায় খোলা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

        ‘ব্ল্যাক’ ফিরে যাচ্ছে পুরনো লাইনআপে!

        অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ

চীনেও মাঙ্খুটের তাণ্ডব, ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪

চীনেও মাঙ্খুটের তাণ্ডব, ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪

ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার বেগে টাইফুন মাংখুট আছড়ে পড়েছে দক্ষিণ চিন এবং হংকং উপকূলবর্তী এলাকায়। তার আগে ফিলিপাইনে আঘাত হানে মাংখুট। এ পর্যন্ত ৬৬ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।

আলজাজিরা জানিয়েছে, এর মধ্যে ফিলিপাইনেই মারা গেছেন ৬৪ জন। আর চীনে দু’জন নিহতের তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা থমসন রয়টার্স।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) গুয়াংদোঙের জিয়াংমেন শহরে প্রথম আছড়ে পড়ে টাইফুন মাংখুট। ঘণ্টায় ১৬২ কি.মি. বেগে ঝড় বইতে শুরু করে। সঙ্গে ভারী বর্ষণ চলতে থাকে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। ইতিমধ্যে ২০ লাখ ৪৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপকূলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ৪৮ হাজার মাছ ধরার নৌকো। প্রায় ২৯ হাজার নির্মাণ কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে ৬৩২টি পর্যটন কেন্দ্র।

এছাড়াও বন্ধ রাখা হয়েছে হাইনান প্রদেশের দু’টি বিমান বন্দরেরর মোট ৪০০টি বিমানের উড়ান। উপকূলবর্তী সমস্ত স্কুল ও গেস্ট হাউসও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত শেনঝ্যাং বিমান বন্দর হয়ে যে বিমানগুলি যাওয়ার কথা ছিল, বাতিল করা হয়েছে সেগুলো। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে দূরপাল্লার ট্রেনও তুলে নেওয়া হয়েছে। গুয়াংদোঙের উপকূলবর্তী শহরগুলোর সমস্ত জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। এখনও পর্যন্ত ঝড়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ চিনের গুয়াংদোঙ, হাইনান এবং গুয়াংশি জুয়াং প্রদেশ । আপাতত সোমবার পর্যন্ত হাইনান ও গুয়াংদোঙের সমস্ত পর্যটন স্থলগুলো বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে। শনিবার সকাল থেকে কিয়ংঝৌ প্রণালীর নৌ সেবা বন্ধ রয়েছে। গুয়াংদোঙ ও হাইনান প্রদেশকে সংযুক্ত করেছে সেটি।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘরছাড়া মানুষের জন্য ৩,৭৭৭টি জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র গড়েছে গুয়াংদোঙ প্রশাসন। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষে সেখানে মাথা গুঁজতে পারেন। পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে গুয়াংদোঙের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদর দফতরের। প্রতিটি নির্মাণকেন্দ্রে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে তারা। যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা যায়।

উপকূলবর্তী শহরগুলিতে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১০০০ লাইফবোট। যাতে জরুরি অবস্থায় কাজে লাগে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে সে দেশের আবহাওয়া দফতর। সংবাদ মাধ্যমে লাগাতার আপডেট দিয়ে চলেছে তারা। এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সতর্ক বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে জনসাধারণের কাছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম যাতে না বাড়ে, সে দিকে নজর রেখেছে প্রসাশন। তবে আগেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে মজুত করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত