আপডেট :

        সিকৃবিতে পাঠ্যক্রম অভিযোজন প্রশিক্ষণ

        জাতির পিতার আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

        ভারতের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতারের মৃত্যু

        প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার

        ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

        রাফাহ অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলিদের

        চারুপাঠের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        চীনা উদ্যোক্তাদের বস্ত্র-পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান পাটমন্ত্রীর

        এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের কারাদণ্ড

        পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

        বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

        ওসমানীনগরে বদর দিবস পালিত

        বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

গণবিক্ষোভের মুখে চীনের সঙ্গে হংকংয়ের প্রত্যর্পণ বিলের মৃত্যু

গণবিক্ষোভের মুখে চীনের সঙ্গে হংকংয়ের প্রত্যর্পণ বিলের মৃত্যু

উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে চীনের সঙ্গে হংকংয়ের প্রত্যর্পণ বিলের মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হংকংয়ের শাসক ক্যারি ল্যাম। এ বিলটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সরকারি অফিসগুলো অবরুদ্ধ করে রাখেন। এমনকি তারা দেশটির সংসদে ঢুকে যায়। খবর রয়টার্স।

মঙ্গলবার ক্যারি ল্যাম স্বীকার করেন, এই গণবিক্ষোভ বিলটি নিয়ে তার সরকারের তৎপরতা পুরোপুরি ভেস্তে দিয়েছে।

চীনের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশে প্রত্যর্পণের উদ্যোগ নেয়ায় ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা বিতর্কিত বিলটি স্থায়ীভাবে বাতিলের দাবিতে আওয়াজ তোলেন।

এর আগে গত মাসে লাখো মানুষের গণবিক্ষোভের মুখে এ বিলটির জন্য ক্ষমা চান হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম।

বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতেরও ঘোষণা দেন তিনি। তবে এর পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলে কোনো রকমের কাটছাঁট করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ক্যারি ল্যাম। তবে গণআন্দোলনের মুখে বিলটি স্থগিতের পর উল্টো জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি।

মূলত চীন ও তাইওয়ানে অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে হংকংজুড়ে এই গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ চীনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে। হংকংয়ের সাধারণ মানুষ মনে করছেন, বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ নয়। দেশটির সাধারণ মানুষের ধারণা, বিলটি পাস হলে তা দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।

হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই অঞ্চলটি চীনের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছিল।

হংকংয়ের জনসংখ্যা প্রায় ৭৪ লাখ হলেও ১২ জনের একটি বিশেষ কমিটি নেতা বাছাইয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ পান।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত