আপডেট :

        আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দোকান ঘরে দুর্বৃত্তদের হামলা ব্যাপক ভাঙচুর

        ব্যাংক থেকে কোটি টাকা নিয়ে উধাও শ্রীকান্ত নন্দী

        আইইউবিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু; বিজ্ঞানী সালিমুল হক স্মারক বক্তৃতা

        আইইউবিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু; বিজ্ঞানী সালিমুল হক স্মারক বক্তৃতা

        ইসরায়েলকে গাজা যুদ্ধের ইতি টানতে হতে পারে

        মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট প্রত্যাহার;মতামত জানালেন বাইডেন ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রী

        ইরানি প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ফোনালাপ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

        সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার কবর ভাঙচুর

        মারা গেলেন ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়

        শাহরুখ মেয়ের পেছনে ঢালতে হচ্ছে ২০০ কোটি!

        নারায়ণগঞ্জে গান্দিঘাটে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি ও সহযোগিতায় দেশ পরিচালনায় যাত্রা মসৃণ হচ্ছে।

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি ও সহযোগিতায় দেশ পরিচালনায় যাত্রা মসৃণ হচ্ছে।

        ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের ওল্ড স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন লেগেছে

        ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের ওল্ড স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন লেগেছে

        সবকিছু যেন এক রাতেই পরিষ্কার হয়ে গেলো

        সালমানের বাড়িতে হামলা

        দেশে ফের বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য

        স্থায়ী জামিনের আবেদন; ডঃ ইউনূস

        আজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে যাবেন ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূস

রাখাইনে সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে চীন-মিয়ানমার

রাখাইনে সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে চীন-মিয়ানমার


সহিংসতাকবলিত রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিয়ানমার। শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মিয়ানমার সফরে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯ বছরের মধ্যে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম সফরে মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ৩৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দু’দিনের মিয়ানমার সফরের শেষ দিন শনিবার রাজধানী নেপিদোতে এসব চুক্তি স্বাক্ষর করেন স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি।

রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই দেশটিতে দু’দিনের সফরে যান প্রতিবেশী মিত্র দেশের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। শুক্রবার সকালে রাজধানী নেপিদোতে পৌঁছান তিনি।

১৯ বছরের মধ্যে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর এটি। প্রথম দিনেই নেপিদোতে সু চি ও সেনাপ্রধান মিন অং লেইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শি। সফরে চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের (সিএমইসি) আওতায় উভয় দেশ বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল।

রয়টার্স জানায়, শুক্রবার মিয়ানমারে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উভয় দেশের সম্পর্কের নতুন যুগের কথা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সু চি চীনকে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ও বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী মহান দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর একে একে প্রায় তিন ডজন চুক্তি স্বাক্ষর করেন সু চি ও জিনপিং।

এসব চুক্তির মধ্যে রয়েছে চীন থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, সহিংসতাকবলিত রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে একটি নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা।

তবে জিনপিংয়ের এ সফরে ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের বিতর্কিত বাঁধ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ২০১১ সাল থেকেই প্রকল্পটির কাজ থেমে আছে।

মিয়ানমার টাইমস জানায়, সফরের শেষ দিন শনিবার মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রভাবশালী ভিক্ষুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন জিনপিং। এছাড়া চীন-মিয়ানমার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞের মুখে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। একদিকে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে শুরু থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা ও সমালোচনা হয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ ও অন্য সব মঞ্চে সাফাই গেয়ে এসেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর সু চি।

রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রত্যক্ষ কারণেই রাখাইনে বিনিয়োগ করার প্রশ্নে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে বিশ্বের সব দেশ। কিন্তু অন্যেরা যেখানে বিনিয়োগ করতে রাজি নয়, সেখানেই প্রবল আগ্রহ নিয়ে বিনিয়োগ করছে চীন।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত