আপডেট :

        সিকৃবিতে পাঠ্যক্রম অভিযোজন প্রশিক্ষণ

        জাতির পিতার আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

        ভারতের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতারের মৃত্যু

        প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার

        ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

        রাফাহ অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলিদের

        চারুপাঠের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        চীনা উদ্যোক্তাদের বস্ত্র-পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান পাটমন্ত্রীর

        এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের কারাদণ্ড

        পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

        বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

        ওসমানীনগরে বদর দিবস পালিত

        বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

করোনা নিয়ন্ত্রণে চীনের দশ শহরে গণপরিবহন ও মন্দির বন্ধ

করোনা নিয়ন্ত্রণে চীনের দশ শহরে গণপরিবহন ও মন্দির বন্ধ


শনিবার থেকে চীনে সপ্তাহব্যাপী লুনার নিউ ইয়ার (চান্দ্রবর্ষ) শুরু হচ্ছে। ফলে করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে দেশটির দশটি শহরে গণপরিবহন ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্দির বন্ধের পাশাপাশি পর্যটন গন্তব্য ‘নিষিদ্ধ শহর’ ও গ্রেট ওয়ালের একটি অংশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চীনা নববর্ষের ছুটির মধ্যে দেশটির কোটি কোটি মানুষ একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করলে সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে পারে বলেও কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে।

নোভেল করোনা ভাইরাসে (২০১৯-এনসিওভি) আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে। ৮৩০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭৭ জনের অবস্থা গুরুতর। সন্দেহভাজন আরও এক হাজার ৭২ জনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।

নিহতদের সকলেই চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের। সেখানেই সর্বপ্রথম এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে উহানের বাসিন্দাদের বাইরে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।

হুবেই প্রদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষকে অন্যদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। উহানের সঙ্গে বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতায়াত বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ সড়কেও।

উহানের সর্বত্র ফেইসমাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে; কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শহরটি একটি ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে বলে বাসিন্দারা বিবিসিকে জানিয়েছেন।

চীনের স্বাস্থ্য কমিশনই জানিয়েছে, কেউ উহানে যাবেন না। যারা উহানে রয়েছেন, তারা শহর ছাড়বেন না। যদিও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমন কোনও সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। ইতিমধ্যেই সেদেশের ১৩টি প্রদেশে ও তাইওয়ানে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।

পরিস্থিতি নিয়ে জেনেভায় বৈঠকও করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

চীনে মারাত্মক আকার ধারণ করলেও অন্যান্য দেশে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৩ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়ায় পরিস্থিতিকে এখনই ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। 

“ভুল করবেন না। চীনে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করলেও এটি এখনি বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেনি, তবে হয়ে উঠতে পারে,” বলেছেন ডব্লিউএইচও-র প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।

চীনের বাইরে থাইল্যান্ডেই সবচেয়ে বেশি চার জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও|

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত