আপডেট :

        সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের মৃত্যু

        জাতীয় ছাত্র সমাজের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

        দ্বিতীয় টেস্টে নেই হাথুরু

        ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২৪’

        গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

        আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করতে হবে: সিসিক মেয়র

        রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

        মস্কো কনসার্ট হামলায় পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউক্রেনের ইন্ধনের অভিযোগ রাশিয়ার

        র‍্যাবের পৃথক অভিযান, ১২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

        পদ্মা সেতুতে ভুটানের রাজা

        মার্কিন কূটনীতিককে তলব

        স্বাধীনতা দিবস বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ফসল: প্রতিমন্ত্রী

        সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে: সংসদ স্পিকার

        বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনা ভয়াবহ: বাইডেন

        মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুজিব কোট’ উপহার দিলো প্রশাসন

        ২৯টা বছর ছিল বাঙ্গালী জাতির দুর্ভাগ্যের বছর: প্রধানমন্ত্রী

        লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ

        সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

        বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের হুশিয়ারি

        যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রয়োজন শিক্ষার অগ্রযাত্রায়: সিকৃবি ভিসি

ছেলের খোঁজে সাইকেল নিয়ে ১৫০০ মাইল

ছেলের খোঁজে সাইকেল নিয়ে ১৫০০ মাইল

ছ’মাস আগে নিখোঁজ হয়েছে ১১ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে।সাহায্যের জন্য বাবা ছুটে গিয়েছিলেন পুলিশের কাছে ; কিন্তু মেলেনি।শূন্য হাতেই ফিরতে হয় ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাতরসের কৃষক সতীশ চন্দকে।

শেষ পর্যন্ত ছেলের খোঁজে নিজের সাইকেল নিয়ে পথে নামেন সতীশ।এভাবে চলতে চলতে নিজের রাজ্য পেরিয়ে চলে গিয়েছেন দিল্লি, হরিয়ানা।পাঁচ মাস ধরে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে অতিক্রম করে ফেলেছেন সতীশ।তবুও মেলেনে ছেলের খোঁজ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সতীশ যেখানে গিয়েছেন সেখানেই পথে-ঘাটের মানুষকে ছেলের ছবি দেখিয়ে জানতে চেয়েছেন কেউ তাকে দেখেছে কি না।কিন্তু কেউই সন্ধান দিতে পারেনি।এরপরও দমে যাননি আটচল্লিশের এই কৃষক।ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার আশাতেই সাইকেলের প্যাডেলে পা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সতীশ বেশ আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘লোকে আমাকে জিজ্ঞাসা করে কেন এমন পদক্ষেপ নিলাম। কিন্তু তারা বোঝে না, সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কতটা তীব্র!’

তিনি জানান, ২০০৫ সালে মেয়ে সরিতা অসুখে ভুগে মারা যায়।২০১১ সালে মারা যায় তার অন্য এক সন্তান।গত ২৪ জুন ছেলে গডনাও নিখোঁজ হয়।শেষ সম্বলকে খুঁজতে তাই আর পিছনের দিকে তাকাননি তিনি।

সতীশ জানান, ২৪ জুন বাড়ি থেকে স্কুলের যায় গডনা।বাড়ি থেকে স্কুল এক কিলোমিটারের মধ্যেই।সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় স্কুলে খোঁজ নিতে যান তিনি।কিন্তু সেখানেও ছেলেকে না পেয়ে তার কয়েক জন বন্ধুর বাড়িতে যান।পথে যেতে যেতে কেউ একজন তাকে জানান, গডনাকে সাসনি রেলস্টেশনে দেখা গিয়েছে।সেখানেও ছুটে যান তিনি,কিন্তু হদিস পাননি তার।

চারদিন খোঁজার পর ২৮ জুন পুলিশের দ্বারস্থ হন সতীশ।তার অভিযোগ, পুলিশ এইআইআর নিতে অস্বীকার করে।বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও কোনও কান দেয়নি পুলিশ।অগত্যা নিজেই ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন নিজের সাইকেল নিয়ে।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত