আপডেট :

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

        বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ বুধবার রাজধানী ঢাকা শীর্ষ ১০ এর বাইরে

        লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবি

        থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রাজধানী ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

        গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে রাতে

        ২ হাজার ডলার দাম কমলো টেসলা গাড়ির

        যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

        মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপত্তিতে আছে জর্ডান

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার সুদ বা মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার

        পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার

        কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আলী আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ

        ক্যাসিনোকাণ্ডের প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন

        যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিপরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস

        ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের ধরপাকড়

পুতিন কেন এতো জনপ্রিয়?

পুতিন কেন এতো জনপ্রিয়?

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। কে হচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট তা রোববার রাতেই মধ্যে জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে আবারও নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তা প্রায় নিশ্চিত৷

চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সরকারি জনমত যাচাইকারী সংস্থা সারা দেশে জরিপ চালানোর পর জানিয়েছে, ৬৯ শতাংশ উত্তরদাতা পুতিনকে ভোট দেবেন৷ এর আগে গত বছরের শেষদিকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্বাধীন জনমত যাচাইকারী সংস্থা লেভাদা সেন্টার পুতিনের প্রতি ৭৩ শতাংশের সমর্থন থাকার কথা জানিয়েছিল৷ গত কয়েক বছর ধরে পুতিনের প্রতি সমর্থনের পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশের মতো ছিল৷ ফলে রোববারের নির্বাচনে তার জয় এক রকম নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছে বার্তা সংস্থাগুলো৷

কিন্তু পুতিনের এই জনপ্রিয়তার নেপথ্য কারণ কী?
জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন৷ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলিৎসিন তাকে এই পদে এনেছিলেন৷ এর কয়েক মাস পর ইয়েলিৎসিন পদত্যাগ করলে অস্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পুতিন৷ এরপর ২০০০ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হন তিনি৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ সেই সময় ছিল চার বছর করে৷ ফলে দুই মেয়াদে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন পুতিন৷ এরপর তার রাজনৈতিক সঙ্গী দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷
পুতিন সেই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷ ওই সময়ই প্রেসিডেন্টের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়৷ ২০১২ সালে পুতিন আবার প্রেসিডেন্ট হন৷ এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থাকবেন৷ এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সংবিধানে যে নিয়ম আছে, তাতে ওই সময়ের পর আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না পুতিন৷

অর্থাৎ প্রায় বিশ বছর ধরে রাশিয়ার রাজনীতির প্রধান হয়ে আছেন তিনি। মস্কোভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়েন্স সিগার্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, পুতিন রাশিয়ার রাজনীতিকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন যে, কোনো বিরোধী পক্ষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি৷

এ ছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার ভেঙে পড়া অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে পুতিনের আমলে৷ যদিও পুতিনের অর্থনৈতিক নীতির কারণে সেটি হয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ কেননা বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর একটি দেশ৷ ফলে এক সময় দেশটি এমনিতেই উন্নতি করতে পারতো৷

‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তার পক্ষে গেছে৷ সেটিই তার ক্ষমতার ভিত্তি৷ নব্বই পূর্ববর্তী সময়ে আবারও হয়তো ফিরে যেতে হতে পারে এমন আশঙ্কা আছে অনেকের মনে,' ডয়চে ভেলেকে বলেন সিগার্ট৷

তবে পাশাপাশি পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কেও খবর প্রকাশিত হচ্ছে৷ মূলত তিনজনকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলেন রিয়েলিটি শো'র তারকা ও সাংবাদিক কেসেনিয়া সবচাক৷ ৩৬ বছর বয়সী সবচাক পুতিনের রাজনৈতিক গুরু বলে পরিচিত আনাতোলি সবচাকের মেয়ে৷ তাই সবচাক ক্রেমলিনেরই মনোনীত প্রার্থী বলে মনে করছেন অনেকে৷ তবে সবচাক সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনির প্রতিও তিনি সমর্থন জানিয়েছেন৷ নাভালনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না, কারণ তার বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ যদিও নাভালনি এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন৷
জরিপ বলছে, নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাবেন পাভেল গ্রুডিনিন৷ তিনি কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান৷ গত নির্বাচনে এই দলের তৎকালীন প্রধান জেনাডি জুগানোভ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন৷

পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আরেকজন উল্লেখযোগ্য প্রার্থী হলেন ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি৷ পপুলিস্ট নীতির কারণে তাকে অনেক সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে৷ গত নির্বাচনে তিনি চতুর্থ হয়েছিলেন৷


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত