আপডেট :

        সিকৃবিতে পাঠ্যক্রম অভিযোজন প্রশিক্ষণ

        জাতির পিতার আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

        ভারতের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতারের মৃত্যু

        প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার

        ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

        রাফাহ অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলিদের

        চারুপাঠের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        চীনা উদ্যোক্তাদের বস্ত্র-পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান পাটমন্ত্রীর

        এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের কারাদণ্ড

        পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

        বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

        ওসমানীনগরে বদর দিবস পালিত

        বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

ইসলামী দৃষ্টিতে করোনা হতে মুক্তির আমল

ইসলামী দৃষ্টিতে করোনা হতে মুক্তির আমল

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বর্তমানে নানান দেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে। শুরুটা চীন হতে; যা এখন ভয়ঙ্কর রুপে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইতালিতে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইরানে প্রতি দশ মিনিটে একজন করে মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাহিরে নয়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত-সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুকিছু অঞ্চল করা হয়েছে লকডাউন।

আতঙ্কিত সারা দেশ। দিশেহারা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। নানান বিজ্ঞ ব্যক্তিরা দিচ্ছেন প্রতিকারমূলক মতামত। বিভিন্ন সভা সেমিনারে চলছে সচেতেনতামূলক প্রচারণা। এত কিছুর পরেও থেমে নেই করোনার বিস্তার। এ পর্যন্ত ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এতে।

আমেরিকাসহ পৃথিবীর পরাশক্তি রাষ্ট্রগুলোও করোনার ছোবলের বাইরে নয়। এতোকিছুর পরেও এখনো মানুষ বুঝতে পারতেছে না। আসলে এই করোনার ধ্বংসলীলার শক্তির উৎসটা কোথায়। সল্পসংখ্যক বাদে অধিকাংশই শুধু সায়েন্টিফিক সমাধানে ব্যস্ত। এই ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে। করোনা হলো আসমানি বালা-মুসিবত। এরকম গজব যা বান্দাদের জন্য শাস্তিস্বরুপ আসে। আবার কখনোবা বান্দাকে সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ হিসেবেও আসে।

যেসব রোগের শুরুতেই কোনো প্রতিষেধক নেই, সেসব রোগে মানুষ আক্রান্ত হবার ভয়ে, খাটি মুমিন বাদে অনেকেই এলামেলো বকতে শুরু করে। এতে বান্দা/বান্দিদের ঈমানী শক্তি লোপ পাবার সঙ্গে সঙ্গে, কখনো কখনো ঈমানহারা হয়ে যায়। ধৈর্য হারা হলেই শেষ। খাঁটি মুমিন কখনো আজাবে ধৈর্য হারা কিংবা আতঙ্কিত হয় না। বরং তারা আরো বেশি আল্লাহর পথে নিজেকে রুজু করে।

বান্দাদের কৃতকর্মের কারণে যখন আজাব/গজব আসে, তখন পরহেজগার ব্যক্তিসহ শিশু-বৃদ্ধ কেউই রেহাই পায় না। বরং অন্যদের আহ্বান না জানিয়ে, নিজের আমল ভারী করা বজুর্গরা, অনেক সময় আগেভাগে গজবের শিকার হন। এই দেখে কম আমল বা গাফেল ব্যক্তিদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি হয়, এবাদত বন্দেগী করে লাভ কি। গজবের শিকার হয়ে অনেক সময় পরহেজগার হয়ে যান গাফেল, আর গাফেল হয়ে উঠেন পরহেজগার।

করোনার মতো আজাব যখন বিধর্মী রাষ্ট্রে আগে শুরু হয়, তখন মুসলিম রাষ্ট্রের নাগরিকরা তাদের নানান অত্যাচারের ডালি মেলে ধরে। মূলত এরকম পরিস্থিতিতে ধর্ম না টেনে, মুসলিমদের কর্তব্য তাদেরকে সহায়তা করা। কারণ মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত বলা যাবে না, কার মৃত্যু কী ভাবে হবে। জগতেরে সব ধর্মের মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি।

কোনো অবস্থাতেই ভিন্নধর্মাবলম্বীর কাউকে নিজের চাইতে অধম ভাবা যাবে না। করোনাভাইরাসের মতো কঠিণ রোগবালাইর সময় চিকিৎসক, সরকার ও ধর্মীয় নিয়মাবলীগুলো অনুসরণ করা কর্তব্য। ধর্মীয় গোড়ামি হতে চিকিৎসকের পরামর্শ ও সরকারের আইন অমান্য করাটাও ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত হিসেবে বিবেচ্য। মুমিন বান্দাদের এই সময়ে ধৈর্যের সঙ্গে আরো বেশি বেশি আমল বাড়িয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে আমলের বরকত সম্পর্কে অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে হবে।

প্রত্যেক আসমানি রোগবালাইর সময়েই কতিপয় হক্কানী আলেম সমাজ হতে প্রতিকারের বিশেষ আমল আসে। যা তারা অবস্থার ওপরে বলে থাকেন। কখনওবা স্বপ্নযোগেও পেয়ে থাকেন। এবারের মহামারী করোনায় বিখ্যাত আলেম সুপরিচিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব হজরত মুফতি তাকী ওসমানী (দাঃমাঃ) করোনা হতে রক্ষা পাবার জন্য আমল দিয়েছেন। যথাক্রমে ১/সূরা ফাতিহা তিনবার ২/ সূরা এখলাস তিনবার ও হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল ৩১৩ বার পাঠ করতে হবে।

এই আমল প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে স্বপ্নযোগে পাওয়া। মুমনিদেরকে সর্বাস্থায় খেয়াল রাখতে হবে, আমার আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। হতাশাগ্রস্থরা বিপথগামী। আসুন দেশের এই ক্রান্তীলগ্নে বাড়িতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার মজুদ না করে, স্বাস্থ্য কর্মীদের পরামর্শ পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি এস্তেগফার পড়ায় অভ্যস্ত হই। সেই সঙ্গে ওলামায়ে দেওবন্দ ইসলামী সব মহলে গ্রহণযোগ্য আলেমে দ্বীন হজরত মুফতি তাকী ওসমানী (দাঃ) কর্তৃক জানিয়ে দেয়া করোনা হতে বাঁচার বিশেষ আমলে, নিজেরাসহ অন্যদেরকেও ব্রত করার চেষ্টা করি।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর