আপডেট :

        গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে রাতে

        ২ হাজার ডলার দাম কমলো টেসলা গাড়ির

        যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

        মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপত্তিতে আছে জর্ডান

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার সুদ বা মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার

        পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার

        কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আলী আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ

        ক্যাসিনোকাণ্ডের প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন

        যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিপরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস

        ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের ধরপাকড়

        দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে

        রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফের আরও ৭ সহযোগী গ্রেপ্তার হলেন

        স্বর্ণের দাম কমলো

        ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এবং সেটি দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষন

যে কারণে সবার প্রেম করা উচিত

যে কারণে সবার প্রেম করা উচিত

এলএ বাংলা টাইমস


প্রথম প্রেমের কথা কেউ কী কখনো ভুলতে পারে? এই প্রশ্নটার উত্তরে একেকজন হয়তো একেক রকম কথা বলতে পারেন। কারণ অনেকের জীবনেই প্রথম প্রেম প্রস্ফুটিত হয়নি। অভিজ্ঞতাও ভিন্ন রকম। অবশ্য হুমায়ূন আজাদের কথা মেনে নিলে বিষয়টি আবার অন্যরকমই দাঁড়ায়। তিনি বলেন, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম প্রেম বলে কিছু নেই। মানুষ যখন প্রেমে পরে তখন প্রতিটি প্রেমই প্রথম প্রেম। প্রথম প্রেমের রেশ থেকে যায় অনেক দিন। একটা তাড়না, তিক্ত-মধুর এক অনুভূতি মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে। অনেকের মনে অতীত স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায়। স্মৃতি রোমন্থনে অনেকে আবেগী হয়ে ওঠেন। তাই চলুন প্রথম প্রেম নিয়ে বিজ্ঞান বা গবেষণা কি বলে তা দেখে নেই।


ভালোবাসা শুধু মনের বন্ধনই নয়, এতে দুটি মনের পরিবর্তন ঘটে। আর এই পরিবর্তনের আছে যৌক্তিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। যখন কারো অন্য কাউকে ভালোলাগে তখন মস্তিষ্কে রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ হয়। ফলে ব্যক্তির মনে সৃষ্টি হয় সুখানুভূতির। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, একজন ব্যক্তি অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক মোট চার মিনিট ৯০ সেকেন্ড সময় নেয়। গবেষকরা জানায়, মানুষের মস্তিষ্ক প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির কিছু বিষয় বিবেচনা করে। তার মধ্যে ৫৫ শতাংশ হলো তার অঙ্গভঙ্গি বা বাহ্যিক রূপ, ৩৮ শতাংশ কণ্ঠস্বর ও কথা বলার ভঙ্গি এবং মাত্র ৭ শতাংশ তাদের মূল বক্তব্য শোনে।

যুক্তরাষ্ট্রের রটার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলেন ফিসার জানায়, প্রেমের তিনটি স্তর রয়েছে। এই তিনটি স্তরের প্রতিটি স্তরই ভিন্ন ভিন্ন হরমোন ও রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়। স্তরগুলো হলো- ভালোবাসার ইচ্ছে, আকর্ষণ ও সংযুক্তি। প্রেমের প্রথম স্তরএ যখন কাউকে ভালোলাগে তখন তাকে ভালোবাসার ইচ্ছে থেকে ছেলেদের ক্ষেত্রে টেসট্রোন ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয়। দ্বিতীয় স্তরে কাউকে দীর্ঘদিন ধরে ভালোলাগার ফলে তার প্রতি এক ধরনের আকর্ষণবোধ সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানীদের মতে এই স্তরের সঙ্গে তিনটি নিউরোট্রান্সমিটার জড়িত। এড্রিনালিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিন। নিউরোট্রান্সমিটার হলো এক ধরনের এন্ডোজেন রাসায়নিক যা এক স্নায়ুকোষ থেকে অপর স্নায়ুকোষে সংকেত দেয়।

প্রেমে পড়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এড্রিনালিন গ্রন্থি ও কর্টিসলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে প্রিয় মানুষটিকে দেখলে বা তার সঙ্গে কথা বলার সময় ঘাম ঝরে, হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যায় ও গলা শুকিয়ে আসে। হেলেন ফিসার সদ্য প্রেমে পড়া ছেলেমেয়েদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেছেন যে ভালোবাসার উত্তেজনার ফলে তাদের মধ্যে উচ্চমানের ডোপামিন নিঃসরণ হয়েছে। এই রাসায়নিক পদার্থটি ব্যক্তির মধ্যে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। এক ফোঁটা কেকেন মস্তিষ্কে যে পরিমাণ উত্তেজনা সৃষ্টি করে ডোপামিনও এর ব্যতিক্রম নয়। ফিসার জানান, ডোপামিনের নিঃসরণ বেশি হলে শক্তি বাড়ে, ঘুম ও খাওয়ার চাহিদা কমে যায় ও মনযোগ বাড়ে। সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ এই হরমোনটিই নির্ধারণ করে যে কেন ও কখন আপনি প্রেমে পড়বেন!

তবে মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, প্রথম প্রেম অনেকটাই স্কাইডাইভ বা প্রথমবার আকাশ থেকে লাফ দেওয়ার মতো ঘটনা। প্রথমবারের ঘটনাটি যেভাবে মনে গেঁথে যায়, আর দশবার লাফ দিলেও সেই আগের স্মৃতিটাই বেশি নাড়া দিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট কলেজের মনোবিজ্ঞানী জেফারসন সিংগার বলেন, অধিকাংশ মানুষের ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সের মধ্যে মস্তিষ্কে ‘মেমোরি বাম্প’ বা ‘আকস্মিক স্মৃতি’র একটি বিষয় থাকে। আকস্মিক স্মৃতির বিষয়টি যাঁদের থাকে তাঁরা অধিক স্মৃতিকাতর বা স্মৃতি রোমন্থন করেন। এই স্মৃতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইতিবাচক স্মৃতি হয়।

এলএ বাংলা টাইমস/এমবি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর