আপডেট :

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন

        যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিপরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস

        ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের ধরপাকড়

        দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে

        রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফের আরও ৭ সহযোগী গ্রেপ্তার হলেন

        স্বর্ণের দাম কমলো

        ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এবং সেটি দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষন

        হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যা করনীয়ঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

        অপহরণ ও নির্যাতনের শিকারদেলোয়ারকে সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

        আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থগিত করা হলো

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        মালয়েশিয়ায় মহড়া চলাকালীন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

        ইরানে ব্যাপক হামলা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

        ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপের অগ্রগতির নির্দেশ

        দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে

ঈদের পর লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া

ঈদের পর লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরপর লন্ডন যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চোখের চিকিৎসার উদ্দেশ লন্ডন সফর হলেও এটি রাজনৈতিকভাবেই গুরুত্ব পাবে। তবে সফরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দলের গুলশান ও নয়াপল্টন কার্যালয় সূত্রে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে।দলের নেতাকর্মীদের মতে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে ছেলে তারেক রহমানের পরামর্শ নিতেই তিনি সরাসরি লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এদিকে বিএনপি প্রধানের সম্ভাব্য এ সফর নিয়ে দলের পদ-প্রত্যাশীদের নতুন করে চিন্তার খোরাক জোগাচ্ছে। চেয়ারপারসন লন্ডন গেলে ঈদের আগে কমিটি হচ্ছে না। এ বিষয়ে দলের বড় একটি অংশ মোটামুটি নিশ্চিত। দেশে ফেরার পরই ঘোষণা করা হতে পারে স্থায়ী কমিটিসহ নতুন নেতাদের নাম। তবে ঈদের আগে নির্বাহী কমিটির সম্পাদকীয় পদে নেতাদের নাম ঘোষণার জোর সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। দু’মাসের বেশি সময় পরে তিনি দেশে ফেরেন।১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের পর কয়েক ধাপে মহাসচিবসহ ৪২টি পদে নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটির বাকি পদের বিষয়ে নেতারা প্রায় অন্ধকারেই আছেন। বাকি কমিটি ঘোষণায় বিলম্ব নিয়ে কোনো কোনো নেতা দলের হাইকমান্ডের ওপর চরম ক্ষুব্ধ। এদিকে যেসব পদ ঘোষণা করা হয়েছে তা নিয়েও দলের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভেদ। অনেকের অভিযোগ, কমিটি গঠনে যোগ্যতা ও সিনিয়র-জুনিয়র মানা হয়নি। এ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ঘনিষ্ঠদের কাছে অসন্তোস প্রকাশ করেন।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে নির্বাহী কমিটির সম্পাদক পর্যায়ের নেতাদের নাম ঘোষণা করা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ঈদের আগে নাম ঘোষণা করা, না করা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত রয়েছে। দলের একটি পক্ষ চান, যা হওয়ার হবে। এ সপ্তাহে কমিটি ঘোষণা দিলে এলাকায় গিয়ে ঈদ উদযাপন করা যাবে। তবে অপর পক্ষ চাইছে, ঈদের পরে কমিটি ঘোষণা করা হোক। কারণ, এ সময়ে কমিটি ঘোষণা হলে যারা কাক্সিক্ষত পদ পাবেন না তাদের ঈদ মাটি হয়ে যাবে।জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, কমিটি গঠনের দায়িত্ব চেয়ারপারসনকে দেয়া হয়েছে। তিনি জেনে-বুঝে কমিটি ঘোষণা করবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইতিমধ্যে দলের চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ আরও কিছু পদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন দ্রুতই পুরো কমিটি ঘোষণা দেবেন। এ নিয়ে দলের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অতিমাত্রায় পদের জন্য ‘লালায়িত নেতারা’ কাক্সিক্ষত পদ না পেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দল থেকে পদত্যাগ বা স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিতে পারেন। এ তালিকায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং কয়েকজন সম্পাদকও আছেন। এদের অনেকের বিরুদ্ধেই বিগত এক-এগারোর সময়ে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে এসব নেতারা গুলশান কার্যালয়ে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে যাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। এদের মধ্যে যারা এতদিন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করতেন, তারা কমিটি গঠন নিয়ে এখন ভেতরে ভেতরে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করতেও দ্বিধা করছেন না। তবে দলের অনেকেই মনে করছেন, পদ পেতে হাইকমান্ডকে চাপে রাখতেই রাজনীতি ছেড়ে দেয়া বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়েছেন কেউ কেউ।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত