আপডেট :

        ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট বাড়বে শারীরিক অস্বস্তি

        মোবাইল ইন্টারনেট গতির সূচকে আরও ৬ ধাপ পিছিয়ে ১১২তম অবস্থানে

        মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের

        বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা

        সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন

        রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে উদাত্ত আহ্বান

        হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার

        সরকারি ব্যাংকের ছয় উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে অন্য ব্যাংকে বদলি করা হয়েছে

        ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর কবর থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ তুলা হলো

        মেটার রে-ব্যান স্মার্ট রোদচশমা,করা যাবে ভিডিও কল

        পানিসংকটের শঙ্কা ও শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে পূর্বনির্ধারিত গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল

        শেয়ারবাজারের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে

        দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার জেরে উত্তপ্ত ফরিদপুর

        দেশে একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম কমলো

        বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা

        মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা

        মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা

        যুক্তরাষ্টের শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে

        যুক্তরাষ্টের শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে

        র‍্যাবের মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

অবরুদ্ধ লস এঞ্জেলেসে কেমন কাটল প্রবাসীদের ছুটির দিন

অবরুদ্ধ লস এঞ্জেলেসে কেমন কাটল প্রবাসীদের ছুটির দিন

করোনার অবরোধে ফাঁকা লস এঞ্জেলেসের ব্যস্ততম 101 ফ্রিওয়ে

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেস। চলচ্চিত্র ও পর্যটন নগরী হিসেবে এর খ্যাতি বিশ্বজুড়া। পর্যটনের পাশাপাশি বিনোদন ও আইটি দুনিয়ার বেশ ক’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এই শহরে অবস্থিত। সে হিসেবে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শক, পর্যটক, ব্যবসায়ী, প্রযুক্তিবিদ, বিনোদন জগতের সুপার স্টারদের আনাগুনায় মুখর থাকে এই শহর।

বর্তমান পৃথিবীর প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের রাজধানী বলা হয় ক্যালিফোর্নিয়াকে। কম্পিউটার চিপ তৈরির জন্য প্রসিদ্ধ সিলিকন ভ্যালি থেকে শুরু করে আইবিএম, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, ইউটিউট প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর অবস্থিত এখানে। ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে হলিউডের পাশাপাশি রয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত মুভি থিয়েটার, ডিজনি ল্যান্ড, গ্রিফথ পার্কসহ বহু দর্শনীয় স্থান, পর্যটন এলাকা ও বিনোদন কেন্দ্র। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে এই শহরে নেমে এসেছে এক অভূতপূর্ব নিস্তব্ধতা। শহরের কোন প্রান্তেই নেই চিরচেনা সেই দৃশ্য। জনশুণ্য প্রায় প্রতিটি রাস্তা।

101 ফ্রিওয়ে হলিউড এলাকা ঘেষা লস এঞ্জেলেসের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক। প্রতি মিনিটে যে সড়ক দিয়ে অতিক্রম করে কয়েক হাজার গাড়ি। সেটিও আজ একেবারে ফাঁকা। কয়দিন আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল বিনোদন ও পর্যটন স্থানগুলো।

করোনা সতর্কতায় ক্যালিফোর্নিয়ায় চলছে জরুরি অবস্থা। লস এঞ্জেলেস সিটি কর্তৃপক্ষ থেকেও রয়েছে নানা বিধিনিষেধ। তাছাড়া করোনার কারণে দর্শক, পর্যটকদের যেমন আনাগোনা নেই তেমনি বাইরে বেরুচ্ছে না স্থানীয়রা।

লস এঞ্জেলেস শহরে বাস করছেন প্রায় অর্ধ লক্ষ বাংলাদেশি। স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাসীরাও অনেকটা ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর গত শনি ও রবিবার দ্বিতীয় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল অন্য দিনের চেয়ে একেবারে ব্যতিক্রম। প্রতিটি সাপ্তাহান্তে ছুটির দিনগুলোতে প্রবাসীরা কমিউনিটির বিভিন্ন প্রোগ্রাম, পার্টি আয়োজন করে থাকেন। বেড়াতে যান একে অন্যের বাসায়। কেউ শপিংমলে যান প্রয়োজনীয় বাজার করতে। কেউ বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে যান পার্কে। আড্ডা জমে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু এই সপ্তাহের ছুটির দিনে চোখে পড়েনি এমন কোন দৃশ্য।

বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট, জিম, বার। ঔষধ, গ্রোসারি শপ  ও জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব প্রতিষ্ঠানের ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সবখানে ভীতিকর পরিবেশ। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি স্টেটকে করোনার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ  ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া। প্রতিদিনই এখানে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। লস এঞ্জেলেসে এপর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৩৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। 

এমন পরিস্থিতিতে সবাই ভয়ে তটস্ত। আতংকিত। বাংলাদেশি প্রবাসীরাও কেউ নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

এলএ বাংলাটাইমসের পক্ষ থেকে বেশ ক’জন প্রবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান, ঘরে অনেকটা বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন তারা। কাজ না থাকায় অনেকে বিরক্তিও প্রকাশ করেন। প্রবাসীরা বলছেন, প্রতিটা ছুটির দিন থাকে আমাদের অত্যন্ত আনন্দের। এই দিনগুলোতে আমরা পরিবারকে সময় দেই। সবাই একসাথে ঘুরতে যাই। আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাই। বিভিন্ন পার্টিতে যাই। শপিং করি। কিন্তু করোনভাইরাসের এই অবরোধের মধ্যে সবকিছু কেমন যেন থমকে গেছে।

এসময় অনেকের মধ্যে ব্যাপক আতংকও লক্ষ্য করা যায়।


এলএবাংলাটামইস/এলআরটি/এলএ

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর