আপডেট :

        ভারতের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতারের মৃত্যু

        প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার

        ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

        রাফাহ অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলিদের

        চারুপাঠের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        চীনা উদ্যোক্তাদের বস্ত্র-পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান পাটমন্ত্রীর

        এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের কারাদণ্ড

        পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

        বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

        ওসমানীনগরে বদর দিবস পালিত

        বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

        বাল্টিমোরে সেতুধসে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের সব ক্রু ভারতীয়

        কে হচ্ছেন নতুন বন্ড

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লস এঞ্জেলেসে ফের বন্ধ হল বার

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লস এঞ্জেলেসে ফের বন্ধ হল বার

এলএ বাংলা টাইমস



করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে লস এঞ্জেলেস কাউন্টির বার, ব্রিউয়ারি, ব্রিউ পাবস, ওইনারিগুলো আবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কাউন্টি হেলথ ডিপার্টমেন্ট। গভর্নর গেভিন নিউসামের অর্ডারের পর পর এই আদেশ জারি করে কাউন্টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।    

হেলথ ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়েছে, ‘লস এঞ্জেলেস কাউন্টি গভর্নর গেভিন নিউসামের নির্দেশনা আমলে নিয়েছে। আজকে থেকে কাউন্টির সমস্ত বার বন্ধ রাখতে হবে’। তবে খাবার রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা যাবে। কিন্তু রেস্টুরেন্টের বারগুলো বন্ধ রাখতে হবে। 

কাউন্টি হেলথ ডিরেক্টার বারবারা ফেরার বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য এই ধরণের একটা পদক্ষেপ আবার নেয়া হতাশাজনক।কিন্তু এটা ঝুঁকিপূর্ণ। নাগরিকদের স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য এটা করতে হয়েছে।’ 

লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে রোববার নতুন করে ২০ জন মারা যান ও ২,৫৪২ জন আক্রান্ত হন। এটা কাউন্টির এক দিনে আক্রান্তের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর ফলে লস এঞ্জেলেসে করোনায় আক্রান্ত হয় এ পর্যন্ত ৯৭,৮৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৩,৩০৫ জন । 

লস এঞ্জেলেস কাউন্টি মেয়র এরিক গারসেডি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গভর্নের অর্ডার সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পুনরায় ব্যবসায় শুরু করেছি। কিন্তু আমরা সতর্ক করেছিলাম মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারি।’ 

নিউসাম তার অর্ডারে লস এঞ্জেলেস ছাড়াও ফ্রেসনো, সান ওয়াকিন, কিংস, কের্ন, ইমপেরিয়াল ও টুলেরি কাউন্টিগুলোর বারও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এছাড়া কন্ট্রা কস্টা, সান্তা ক্লারা, সাক্রামেন্টো, রিভারসাইড, সান বারনারডিনো, ভেনচুরা, সান্তা বারবারা, স্টেনেস্লাস এই আটটি কাউন্টির বার বন্ধে স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, দোকানপাট খোলার পর থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। গড়ে প্রতিদিন আক্রান্তের হার ৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা গত সপ্তাহ ছিলো ৫.৮ শতাংশ। 

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শ্বাসযন্ত্রের অসুখ নিয়ে ১৩৫০ থেকে ১৪৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু রোববারে বেড়ে তা ১৭১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।এই বৃদ্ধির হার শুধু পরীক্ষা বেশি করানোর জন্য নয় বরং এটা নির্দেশ করে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। 

হেলথ ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়েছে, এই বৃদ্ধিটা কয়েকটি প্রধান সেক্টর খোলার সময়ের সাথে একই সারিতে হয়েছে। এর মধ্যে বার রয়েছে। যেখানে মানুষ মাস্ক খুলে ড্রিং করে। 

শুক্রবারে ফেরার বলেছিলেন, প্রতিটি রিওপেনিং ঘোষণার সময়ে কাউন্টি থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ফেস মাস্ক পড়ার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। কিন্তু আক্রান্তের হার থেকে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা সেই স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলেননি। 

হেলথ ডিপার্টমেন্ট ধারণা করছে দোকানপাট খোলার পর দিন পাঁচ লক্ষের অধিক মানুষ নৈশপ্রমোদ স্থানে গিয়েছেন।  

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এটাও বলছেন, বর্তমান চলা বিক্ষোভ সমাবেশ গুলোও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। 

বৃদ্ধ নাগরিকরা এই মহামারির সর্বোচ্চ শিকার। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, হৃদ রোগসহ অন্য রোগে আক্রান্ত। তবে কম বয়সীদের মধ্যেও সংক্রমণের হার বেড়েছে। যা এখন মোট আক্রান্তের ৪১ শতাংশ।

পাবলিক হেলথ ডিরেক্টার বারবারা ফেরার বলেন, ‘আমাদের নাগরিক ও ব্যবসায়ীরা অনুরোধ করছি তারা যেন স্বাস্থ্য নির্দেশনাগুলো মেনে চলেন। এইগুলো আমাদের সুস্থ রাখবে, নিরাপদ রাখবে ও এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সহয়তা করবে। অন্যথায় খুব দ্রুতই আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে এবং আমাদের আরও অসুস্থতা ও মৃত্যুকে মেনে নিতে হবে।’ 

এলএ বাংলা টাইমস/এস/আর 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর