আপডেট :

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        দেশে একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে

        ইউক্রেনে গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

        আবহাওয়া বিবেচনায় খোলা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

        ‘ব্ল্যাক’ ফিরে যাচ্ছে পুরনো লাইনআপে!

        অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, লস এঞ্জেলেসে স্বীকৃতি উদযাপন

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, লস এঞ্জেলেসে স্বীকৃতি উদযাপন

৭ই মার্চ ১৯৭১ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো জনতার সমাবেশে তাঁর জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ রাখেন- ইতিহাসখ্যাত ৭ই মার্চের ভাষণ। তৎকালীন পাকিস্তানের জনগণই শুধু নয়, সারা বিশ্বের মানুষ ঔৎসুক্য নিয়ে তাকিয়ে ছিল- বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে কী বলেন। ঢাকায় তখন বিদেশি সব গুরুত্বপূর্ণ পত্রপত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য সেটি ছিল এক অন্তিম মুহূর্ত। অপরদিকে, স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত বাঙালি জাতির জন্য ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের শৃঙ্খল ছিন্ন করে জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত সংগ্রামের আহ্বান।

৭ই মার্চ নির্ধারিত সময়ে বঙ্গবন্ধু বিক্ষোভে উত্তাল রেসকোর্সের লাখো জনতার সভামঞ্চে এসে উপস্থিত হন। হৃদয়ে তাঁর বাঙালির হাজার বছরের মুক্তির আন্দোলন, সংগ্রাম ও স্বপ্ন। মাথার ওপর আকাশে ঘুরছিল পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান। এমনি এক সন্ধিক্ষণে তিনি তাঁর ১৮ মিনিটের সংক্ষিপ্ত অথচ জগৎবিখ্যাত ভাষণ রাখলেন। অসাধারণ এর বক্তব্য। যেমনি সারগর্ভ, ওজস্বী ও যুক্তিযুক্ত, তেমনি তির্যক, তীক্ষ্ণ ও দিক-নির্দেশনাপূর্ণ। অপূর্ব শব্দশৈলী, বাক্যবিন্যাস ও বাচনভঙ্গি। একান্তই আপন, নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে পাকিস্তানের ২৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস ও বাঙালিদের অবস্থা ব্যাখা, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে বাঙালিদের দ্বন্দ্বের স্বরূপ তুলে ধরা, শান্তিপূর্ণভাবে বাঙালিদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা, অসহযোগ আন্দোলনের পটভ‚মি ব্যাখ্যা ও বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা, সারা বাংলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ, প্রতিরোধ সংগ্রাম শেষাবধি মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়ার ইঙ্গিত, শত্রুর মোকাবেলায় গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন, যে কোনো উসকানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ, ইত্যাদি কিছুর পর ঘোষণা করেন- ‘… ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে… এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’

দীর্ঘ ৪৬ বছর পরে হলেও জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো প্যারিসে অনুষ্ঠিত এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা সংস্থাটির ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে। জাতিসংঘের মতো বিশ্বসংস্থার এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।এর উদযাপন চলছে দেশে বিদেশে। এরই অংশ হিসেবে গত ২৫ নভেম্বর শনিবার লস এঞ্জেলেসে বর্ণাঢ্য শুভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিটল বাংলাদেশ সাইন এলাকায় এই শোভাযাত্রা শেষে কনসুলেট জেনারেল অফিসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কনসুলেট জেনারেলের উদ্যোগে আয়োজিত এই  শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় অংশ নেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেইট আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও আওয়ামীলীগের সমর্থক নয় কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন- এমন অনেককে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে দেখা যায়।

আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

ডেপুটি কন্সাল জেনারেল আল-মামুন-এর পরিচালানায় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় উপস্হিত ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান, সহ-সভাপতি শামীম আহমেদ ও জাকির খান, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল কাজল, যুগ্ম সম্পাদক দিদার আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউদ্দিন, মিয়া আব্দুর রব, ফরহাদ হোসাইন, পশ্চিম অঞ্চল যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান, সোহেল আহমেদ, আব্দুল আজিজ,  আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ শাহ্‌ আলম খান চোধুরী, মিজান আজাদ, তাওয়াজ্জাল জাহান কাজল, ড. রুবি হোসাইন, ড. মোয়াজ্জেম হোসাইন, মহিলা আওয়ামী লীগের নীনা শারমিন মুক্তা, মনিকা, ক্যালিফোর্নিয়া টেষ্ট আওয়ামী যুব লীগের আহ্বায়ক সূবর্ন  নন্দী তাপস, স্টেট যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আহমেদ ইমু,  সিটি যুব লীগের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, ড্যানি তৈয়ব, সোহেল রহমান বাদল ও ঢাকা থেকে আগত মিসেস সাজেদা। তবে শুভাযাত্রার তুলনায় কনসুলেট জেনারেল অফিসে আলোচনা সভায় উপস্থিতি ছিল অনেক কম।

উপস্থিত দলীয় নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং কন্সাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা উপস্থিত সকলকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সবশেষে কন্সাল জেনারেলের পক্ষ থেকে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।


এলএবাংলাটাইমস/এলএ/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর