আপডেট :

        হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার

        সরকারি ব্যাংকের ছয় উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে অন্য ব্যাংকে বদলি করা হয়েছে

        ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর কবর থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ তুলা হলো

        মেটার রে-ব্যান স্মার্ট রোদচশমা,করা যাবে ভিডিও কল

        পানিসংকটের শঙ্কা ও শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে পূর্বনির্ধারিত গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল

        শেয়ারবাজারের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে

        দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার জেরে উত্তপ্ত ফরিদপুর

        দেশে একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম কমলো

        বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা

        মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা

        মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা

        যুক্তরাষ্টের শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে

        যুক্তরাষ্টের শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে

        র‍্যাবের মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ

        বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত

        কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কতজন?

        বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এশিয়া অঞ্চল

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

আমার বক্তব্য মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে : আহমদ শফী

আমার বক্তব্য মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে : আহমদ শফী

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পাঠানোর ব্যাপারে দেওয়া বক্তব্যের খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী।

হাটহাজারী মাদ্রাসার মুখপাত্র মাসিক মুইনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক সরওয়ার কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়েছে। শনিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হেফাজত আমিরের পক্ষে গণমাধ্যমে এই লিখিত বিবৃতি পাঠান সরওয়ার কামাল।

লিখিত বক্তব্যে হেফাজত আমির বলেন, ‘আমি মূলত বলতে চেয়েছি, ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন হয় –এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশুনা করানো উচিত হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ যাবতীয় সব কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সবাই অবগত যে, উম্মুল মুমিনিন হজরত মা আয়িশা (রাঃ) ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি শিক্ষাগ্রহণ না করলে উম্মত অনেক হাদিস থেকে মাহরুম হয়ে যেতো। তবে এর পাশাপাশি ইসলামের একটি মৌলিক বিধান হচ্ছে পর্দা। নারীদের পর্দার বিষয়ে ইসলামে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমি আমার বক্তব্যে বলতে চেয়েছি, শিক্ষাগ্রহণ করতে গিয়ে যেন পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা না হয়। কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ সাধারণ শিক্ষাকেন্দ্রে সহশিক্ষা দেওয়া হয়, অর্থাৎ ছেলেমেয়ে একইসঙ্গে শিক্ষাগ্রহণ করে থাকে। এতে পর্দার লঙ্ঘন হয়। আমি মূলত এই সহশিক্ষা গ্রহণেই মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমি (হেফাজত আমির) জানতে পেরেছি যে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমাকে নারী বিদ্বেষী ও নারী শিক্ষা বিদ্বেষী বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছে। আমি হাইয়াতুল উলইয়ালিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আপনারা জানেন যে, হাইয়ার অধীনে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সনদ গ্রহণ করে থাকেন। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওরায়ে হাদিসকে মার্স্টাসের সমমান প্রদান করেছেন। এতে আমাদের দেশের লাখো মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রী দাওয়ারে হাদিস পাশ করে মার্স্টাসের সমমান অর্জন করছেন। যে সম্মিলিত বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার নারী রাষ্ট্র স্বীকৃত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত বলে পরিগণিত হচ্ছে, সেই বোর্ডের প্রধান হয়ে আমি কীভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী হলাম তা বোধগম্য নয়।’

ওই বিবৃতি বলা হয়, ‘আমি আবারও বলছি যে, আমি বা আমরা নারীশিক্ষার বিরুদ্ধে নই, তবে নারীর জন্য নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমরা আগেও সতর্ক করেছি, এখনও করছি। আমরা চাই, নারীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক, তবে সেটা অবশ্যই নিরাপদ পরিবেশে এবং ইসলামের মৌলিক বিধানকে লঙ্ঘন না করে। শিক্ষাগ্রহণ অবশ্যই জরুরি, তবে সেটা গ্রহণের জন্য আমরা আমাদের কন্যাদের অনিরাপদ পরিবেশে পাঠাতে পারি না।’

বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘আমরা যেমন নিরাপদ পরিবেশে রেখে নারীদের সর্বোচ্চ শিক্ষায় (দাওরায়ে হাদিস সমমান মাস্টার্স) শিক্ষিত করে যাচ্ছি, আপনারাও সেভাবে নিরাপদ ব্যবস্থা করে শিক্ষা দান করুন। আমরা উৎসাহিত করবো আপনাদের। আমরা চাই, এ দেশের নারীরা শিক্ষিত হোক। কারণ, মা শিক্ষিত হলেও সন্তান সঠিক শিক্ষা পাবে। নারীদের শিক্ষাগ্রহণের জন্য পরিবেশ তৈরি করুন। যেখানে পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা সবাই নারী থাকবেন। সে ধরনের শিক্ষা দানের ব্যবস্থা থাকলে আমরা তাতে উৎসাহিত করবো, ইনশাল্লাহ।’

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর