আপডেট :

        বিচারকবিহীন আদালত

        বাংলাদেশের গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার

        সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের মৃত্যু

        জাতীয় ছাত্র সমাজের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

        দ্বিতীয় টেস্টে নেই হাথুরু

        ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২৪’

        গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

        আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করতে হবে: সিসিক মেয়র

        রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

        মস্কো কনসার্ট হামলায় পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউক্রেনের ইন্ধনের অভিযোগ রাশিয়ার

        র‍্যাবের পৃথক অভিযান, ১২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

        পদ্মা সেতুতে ভুটানের রাজা

        মার্কিন কূটনীতিককে তলব

        স্বাধীনতা দিবস বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ফসল: প্রতিমন্ত্রী

        সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে: সংসদ স্পিকার

        বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনা ভয়াবহ: বাইডেন

        মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুজিব কোট’ উপহার দিলো প্রশাসন

        ২৯টা বছর ছিল বাঙ্গালী জাতির দুর্ভাগ্যের বছর: প্রধানমন্ত্রী

        লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ

        সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন ৪৯ নারী

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন ৪৯ নারী

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সব প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংরক্ষিত ৪৯টি আসনের প্রতিটিতে একজন করে প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তারা।

নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন।

শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, ‘সংরক্ষিত ৪৯টি নারী আসনের কোনোটিতে একাধিক প্রার্থী না থাকায় তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের চূড়ান্ত তালিকা রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের জন্য রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবকে চিঠি দেয়া হবে। পরবর্তীতে কমিশন থেকে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।’

সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ১১ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন পর্যন্ত ৪৯টি আসনের বিপরীতে ৪৯ প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দেন। পরের দিন মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে প্রত্যেকের মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। এরপর আজ (শনিবার) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ দিন কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় প্রত্যেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তাফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রামের খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াসিকা আয়েশা খান, কক্সবাজারের কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ির বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লার আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুরের শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনার সুলতানা নাদিরা, জামালপুরের মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোনার হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুরের শেখ এ্যানি রহমান, টাঙ্গাইলের অপরাজিতা হক ও মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জের শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জের ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারীর রাবেয়া আলী, নরসিংদীর তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জের নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহের মোছা. খালেদা খানম, বরিশালের সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালীর কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনার অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুরের জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালীর ফরিদা খানম (সাকী), ফরিদপুরের রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়ার সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজারের সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহীর আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুরের পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ীর খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুরের মোসা. তাহমিনা বেগম, পাবনার নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোরের রত্না আহমেদ।

এ ছাড়া জাতীয় পার্টির অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার; ওয়ার্কার্স পাটির মনোনীত প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৪৯টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় আরেকটি আসন ফাঁকা রয়েছে। সেই আসনটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাতজন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় দলটির জন্য সংরক্ষিত আছে। সংরক্ষিত আসনে বিএনপির একজন প্রার্থী দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেছিলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে বিএনপির প্রার্থীরা যদি শপথ গ্রহণ না করেন, তাহলে এ সাতটা আসন নির্বাচন কমিশন শূন্য ঘোষণা করবে। পরবর্তীতে এই আসনগুলোতে নির্বাচন হবে। তাতে যারা এ আসনগুলো পাবে, সেই ভিত্তিতে একটি নারী আসনের ভোট হবে।’

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর