আপডেট :

        ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাবদাহে ব্রাজিল

        সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ

        প্রধানমন্ত্রী-ক্রাউন প্রিন্সেসের সাক্ষাৎ

        জলদস্যুতা নির্মূলে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: মোদি

        সাব-রেজিস্ট্রার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

        সাকিব ইস্যুতে ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য

        ২০০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

        আসন্ন ঈদে বিআরটিসির ৫৫০টি বাস

        সাদিপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ১০ লক্ষ টাকা অনুদান

        হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ৯ জনের যাবজ্জীবন

        রিশাদের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

        কণ্ঠশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

        বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

        গুণী প্রধান শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান

        বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃ‌তিতে আইরিশ মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

        ইসলামবিদ্বেষ ঠেকাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

        বাংলাদেশ-বৃটেন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১ বছর: বৃটিশ হাইকমিশনার

        ঢাকায় সুইডিশ রাজকন্যা

        ইরাকের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করবে আইএইএ

        বিস্ফোরক মামলায় যুবদল-ছাত্রদলের ৪ নেতা কারাগারে

রেলের একটি টয়লেট মেরামতে খরচ ৭৩ লাখ!

রেলের একটি টয়লেট মেরামতে খরচ ৭৩ লাখ!


২০১৭ ও ২০১৮ সালের দুর্নীতির নথিপত্র ফাঁস হওয়ায় পশ্চিম রেলের বর্তমান কর্মকর্তাদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দুর্নীতির এ সিরিজ প্যাকেজের মোটমূল্য ৭০০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।পশ্চিম রেলে দুই থেকে আড়াই শতাধিক গায়েবি খাতে ৭০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন পরিষ্কার করতেই ৯৫ লাখ টাকার ভিম পাউডার লেগেছে।এছাড়া ছোট্ট একটি টয়লেট মেরামতে খরচ হয়েছে ২৮ লাখ টাকা। আরেকটি টয়লেট সংস্কারসহ বারান্দার টিন বদলে খরচ হয়েছে ৭৩ লাখ টাকা।রেলের এমন শত শত কাজ টেন্ডার ছাড়াই ক্ষমতাসীন দলের তৃতীয় শ্রেণির ঠিকাদারদের দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো নিয়মই মানা হয়নি।পশ্চিম রেলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. রমজান আলী ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তার সিন্ডিকেট দুর্নীতির এ মহাযজ্ঞের নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে একটা ছোট অফিসের কয়েকটা টয়লেট মেরামতে একজন ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টাকা। বারান্দার টিন বদল আর অফিসের টয়লেট মেরামতে আরেকজন ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে ৭৩ লাখ টাকার বিল।নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পশ্চিম রেলের এমন দুই থেকে আড়াই শতাধিক গায়েবি খাতে ৭০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মোর্শেদ আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রেলে দুর্নীতির পরিসর বিস্তৃত ও মাত্রা ভয়াবহ। সীমিত জনবলে এসব অনুসন্ধানে অনেক সময়ের প্রয়োজন। অনুসন্ধান পুরোদমে চলছে। সময় হলে সব জানানো হবে।জানা গেছে, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. রমজান আলীর পুরো মেয়াদে এ ধরনের কাজের মাধ্যমে বিপুল অর্থ লোপাট হয়েছে। রমজান আলী বর্তমানে মোংলা রেল প্রকল্পের পরিচালক।
বিনা টেন্ডারে কাজ দেয়া ও বিপুল অর্থ লোপাটের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে একাধিকবার তাকে ফোন করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই ব্যস্ততা দেখিয়ে নিজেই কথা বলবেন বলে জানান; কিন্তু তিনি পরে আর ফোন করেননি।অন্যদিকে টয়লেট মেরামত দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ বিল প্রদানকারী সাবেক সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে সৈয়দপুর সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) পদে কর্মরত মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

পরে কথা বলবেন বলে জানালেও আর ফোন রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে মতামত চাইলে রাজশাহীতে রেলভবনে কর্মরত সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী (এসএসইএ) বাবুল আকতার বলেন, বিষয়টি আগের কর্মকর্তার আমলের। তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।সাবেক প্রধান সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন প্রকৌশলী অসীম কুমার তালুকদার বর্তমানে পাকশীর বিভাগীয় ম্যানেজার। তিনিও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।অন্যদিকে পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘মাত্র কিছুদিন আগে দায়িত্ব নিয়েছি। এরই মধ্যে দুদকের কর্মকর্তারা কয়েকবারই এসেছেন এবং তাদের চাহিদামতো নথিপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। দুর্নীতি কতটুকু কী পরিমাণ হয়েছে, সেটা আমি এখন বলতে পারছি না।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর