আপডেট :

        সাদিপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ১০ লক্ষ টাকা অনুদান

        হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ৯ জনের যাবজ্জীবন

        রিশাদের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

        কণ্ঠশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

        বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

        গুণী প্রধান শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান

        বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃ‌তিতে আইরিশ মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

        ইসলামবিদ্বেষ ঠেকাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

        বাংলাদেশ-বৃটেন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১ বছর: বৃটিশ হাইকমিশনার

        ঢাকায় সুইডিশ রাজকন্যা

        ইরাকের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করবে আইএইএ

        বিস্ফোরক মামলায় যুবদল-ছাত্রদলের ৪ নেতা কারাগারে

        জিএসপি সুবিধার মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়াতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

        ট্রাম্প মানসিকভাবে অসুস্থ: জো বাইডেন

        জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

        বিএনপি ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গীবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

        মার্কিন গণতন্ত্রকে কটাক্ষ পুতিনের

        শাল্লায় বিল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ

        দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ: সজীব ওয়াজেদ জয়

        সিএনজি-লেগুনা’র দখলে রাস্তা

‘স্যার, রিমান্ডটা কনসিডার করা যায় না’

‘স্যার, রিমান্ডটা কনসিডার করা যায় না’

বিচারকের উদ্দেশে সাহেদ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এসময় সাহেদ বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘স্যার, রিমান্ডটা কনসিডার করা যায় না।’

গত ৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ আসামি সাহেদের ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত সাহেদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন। এদিন রিমান্ড শুনানিকালে সাহেদকে বেলা ১২টার দিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে সরাসরি এজলাসে নেওয়া হয়।

এরপরই রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। তখন সাহেদ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আমার আইনজীবী আসছিলেন। এখন তাকে দেখছি না। তার জন্য একটু অপেক্ষা করি। বিচারক ১৫ মিনিট পর শুনানির সময় দেন। এরপর এক আইনজীবী সাহেদের কাছ থেকে তার আইনজীবীর মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন দেন। কিন্তু আইনজীবী ফোন ধরেননি। পরে ১৫ মিনিট পর আবার শুনানি শুরু হয়। তখন সাহেদ আদালতের উদ্দেশে বলেন, তাহলে আমি নিজেই বলি।

সাহেদ বলেন, আমি ২০ দিনের রিমান্ডে ছিলাম। সামনে আরও ২৮ দিন পেন্ডিং রয়েছে। আমি অসুস্থ, নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। এখন আপনার ইচ্ছা।

এরপর দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের এমআইআর মেশিন কিনতে আসামি ২ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু তিনি মেশিন না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জানতে পেরেছি, এ দুই কোটি টাকা ঋণ নিতে বিভিন্ন জনকে তিনি ৩৫ লাখ টাকা বকশিস দিয়েছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কারা এ বকশিস নিয়েছেন তাদের নামও চলে আসবে। এজন্য তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

তখন সাহেদ বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছি। আমার এমডি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুর আছেন। তার সঙ্গে অপারেট করতে পারছি না। এখন আপনার বিবেচনা।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাহেদের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এরপর সাহেদ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘স্যার, রিমান্ডটা কনসিডার করা যায় না।’

তখন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তাকে অভয় দিয়ে বলেন, দুদক রিমান্ডে নিয়ে কারো ওপর খারাপ আচরণ করে না। এরপর সাহেদকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ২৭ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদ, ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মাহবুবুল হক চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি, মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে ও বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের এমডি রাশেদুল হক চিশতি।

১৫ জুলাই (বুধবার) ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে। পরদিন প্রতারণার মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৬ জুলাই পৃথক চার মামলায় তার আরও ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন সাতক্ষীরার আদালতও অস্ত্র মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর