আপডেট :

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        দেশে একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে

        ইউক্রেনে গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

        আবহাওয়া বিবেচনায় খোলা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

        ‘ব্ল্যাক’ ফিরে যাচ্ছে পুরনো লাইনআপে!

        অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ

যারা স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল তাদের কি লজ্জা হয় না : শেখ হাসিনা

যারা স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল তাদের কি লজ্জা হয় না : শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ৭৫ পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিল, যাদের জন্ম বাংলাদেশে না, তারাই বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তারাই ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করেছিল। সেই ভাষণ আজ ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল তাদের কি লজ্জা হয় না? রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার দুপুরে নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রায় ২৫ মিনিটে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়। ইতিহাসও সত্যকে তুলে ধরে। আজকে সেই স্বীকৃতি বাংলাদেশ পেয়েছে।

৪টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শুরু করে বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করেছিলেন তারা কারা? তারা তো চাটুকার, পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। তাদের লজ্জা হয় না। আমি জানি তাদের কোনো লজ্জা নেই।

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সবার কাছে আমার একটা অনুরোধ আর যেন কখনো ওই পাকিস্তানি প্রেতাত্মা, তোষামোদী চাটুকারি দল যেন আর বাংলার মাটিতে ফিরে আসতে না পারে। আর যেন তারা ইতিহাস বিকৃতি করার সুযোগ না পাই। এজন্য বাংলাদেশের সকল মানুষকে জাগ্রত থাকতে হবে।

৪টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষ করেন। এর মধ্যদিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এই সমাবেশের আয়োজন করেছে নাগরিক কমিটি।

এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটার পরে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। এসময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অংশ বিশেষ মাইকে বাজানো হয়। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উপস্থিত হয়ে হাত নেড়ে সকলকে অভিবাদন জানান।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশ। তারপর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।

নাগরিক কমিটির আহবায়ক ইমিরেটস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করছেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এছাড়া সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।

বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে পরিবেশিত হয় গান ও কবিতা। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা পাঠ করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

এছাড়া পরিবেশিত হয় রবীন্দ্র, নজরুল আর মরমী কবি লালন শাহের গান।

নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী সঞ্চালনা করেছেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কৃত্রিম লেকে শোভা পাচ্ছে পাট বোজাই পাল তোলা নৌকা। আর নৌকার পালে আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বিভিন্ন অংশ। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ, তোমাদের হাতে যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে ইত্যাদি।

নাগরিক সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন। তারা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও ৭ মার্চের ভাষণের ছবি সম্বলিত প্লা-কার্ড বহন করেন।

সমাবেশ ঘিরে আগেই শাহবাগ এলাকার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এরপরও এর প্রভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও অন্য এলাকায় গাড়ির বাড়তি চাপ দেখা গেছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে মূল মঞ্চ সাজানোসহ সমাবেশস্থলের আশপাশ এলাকা সাজানো হয় হয়েছে বর্ণিল সাজে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের পাশের গেইট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে তিন নেতার মাজার পর্যন্ত পাঁচটি গেইট দিয়ে সাধারণ জনগণ প্রবেশ করেন।

নাগরিক সমাবেশে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দসহ প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর