আপডেট :

        চারুপাঠের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        চীনা উদ্যোক্তাদের বস্ত্র-পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান পাটমন্ত্রীর

        এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের কারাদণ্ড

        পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

        বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

        ওসমানীনগরে বদর দিবস পালিত

        বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

        বাল্টিমোরে সেতুধসে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের সব ক্রু ভারতীয়

        কে হচ্ছেন নতুন বন্ড

        জাহাজের ধাক্কায় বাল্টিমোরে সেতু ধসের সর্বশেষ

        শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ভালো করা উচিত: সাকিব

        রিকশাওয়ালাদের গেম শো

        আর্জেন্টিনায় ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত

যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্কের উদ্বোধন

যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্কের উদ্বোধন

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশের সুফল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছে দিতে যশোরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি’ পার্কের। এর মাধ্যমে ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইটেক পার্কগুলো রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে পারবে। যশোরের মতো স্থানে এমন একটি আধুনিক সুযোগ সম্বলিত পার্ক মানুষের আকৃষ্ট করবে।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা আরো এগিয়ে যাবে। যশোর, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ এসব জেলার ছেলেরা এখানে কাজ পাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সিলিকন ভ্যালির আদলে তৈরি এই ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক’। এটি আমাদের দেশে একখণ্ড সিলিকন ভ্যালি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানা করেছিলেন তার নামে যশোরের হাইটেক পার্ক এর নাম করণ না করতে। কিন্তু সরকারের অর্থায়নে এটি প্রথম হাইটেক পার্ক। এই বিষয়টি স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নামে এই হাইটেক পার্কের নামকরণ করা হয়।

প্রযুক্তি পার্ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গির আলম বলেন, এই পার্কের মূল ভবনে প্রায় ৫৫টি কোম্পানিকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাপানের দুটি কোম্পানিও রয়েছে। এর মাধ্যমে ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি আরো বলেন, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলাকে টার্গেট করে যশোরে এই সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্কটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে দেশি ও বিদেশি আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারবে। এই পার্কে সফটওয়্যার উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, কলসেন্টার, গবেষণা এবং উন্নয়ন কাজ করা যাবে।

প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান এখানে প্রযুক্তি পণ্য উদ্ভাবন করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০১০ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করার সময় যশোরে আন্তর্জাতিক মানের একটি আইটি পার্ক স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার ওই ঘোষণার আলোকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শহরের শংকরপুর এলাকায় বেপজায় আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

মাত্র চার বছরে এই পার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হলো।
এটি নির্মাণে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। পার্কে ১৫তলা এমটিবি ভবন, ১২তলা বিশিষ্ট ফাইভ স্টার মানের ডরমেটরি ভবন, রাষ্ট্র পরিচালিত আর্ট কনভেনশন সেন্টার এবং আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা সম্বলিত প্রায় ২ দশমিক ৩২ লাখ বর্গফুট স্পেস থাকবে। প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুট স্পেস থাকবে।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর