আপডেট :

        প্রচণ্ড জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছে শিশুরা

        প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে

        আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম করেছে ১৪ বছর বয়সী ফিদে মাস্টার মনন রেজা (নীড়)

        তীব্র তাপদাহের কারণে এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা

        অপরাধ সাম্রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা

        চাঁদপুরে সেই পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপর পদক্ষেপ

        বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিলেও গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ

        তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় সারা দেশে হিট অ্যালার্ট

        কোয়াডকপ্টার উড়িয়ে শত্রুরা ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে যা তাদের নিজেদের জন্যই অপমানজনক

        কোয়াডকপ্টার উড়িয়ে শত্রুরা ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে যা তাদের নিজেদের জন্যই অপমানজনক

        বিয়ে করতে গেলেন হেলিকপ্টার নিয়ে গেলেণ বর

        ইরানের ইস্পাহান শহরের জারদানজান এলাকায় একটি পারমাণবিক স্থাপনায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত সামরিক বাহিনীর সদস্যরা

        যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের মানববন্ধন ও সমাবেশে

        সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১৫টি গাড়িকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে

        সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১৫টি গাড়িকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে

        নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে বললেন রাষ্ট্রপতি

        নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে বললেন রাষ্ট্রপতি

        শাহজালালের থার্ড টার্মিনালে ঢুকে গেল রাইদা বাস, প্রকৌশলীর মৃত্যু

        ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট গ্রহন

        রাসেল মাহমুদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়েও পায়নি মোহামেডান

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবে।’

শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে এই ভাষণ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার বাংলাদেশসহ কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও একযোগে সম্প্রচার করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তার সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছরের পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, বর্তমান সরকার অতীতের সফলতা এবং ব্যর্থতার মূল্যায়ন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা অতীতকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই না, তবে এটা ভুলে গেলেও আমাদের চলবে না। আমাদের অতীতের সাফল্য এবং ব্যর্থতার মূল্যায়ন এবং ভুল-ত্রুটিগুলো সংশোধন করেই এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি, কাজেই পেছনে ফিরে তাকানোর আর সুযোগ নেই এবং আশা করছি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে সব বাধা অপসারণের দায়িত্ব নেবে।

শেখ হাসিনা ১০ বছর আগে দেশটির অবস্থান কী ছিল তা স্মরণ করেই আগামীতে জনগণকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান।

তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেশটির গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে এবং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন এখন মানুষের আস্থা অর্জন করছে।
সরকার প্রধান বলেন, রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এই কমিশনের অধীনে দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি একইসঙ্গে আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল নির্বাচনের আগে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে, তাই জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরবর্তী নির্বাচন ২০১৮ সালের শেষে অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সকল প্রকার সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ শান্তি চায়। তারা নির্বাচন বানচালের কোনো পদক্ষেপ এবং আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা বরদাশত করবে না।’

তার পুরো বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের দাবি জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুষম, সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য দল এবং সর্বস্তরের মানুষের মতামতকে সন্মান দিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তার দৃঢ়সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে শুধু বসে থাকতে চাই না। আমরা পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ৪৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে এবং এখন আমরা বিশ্ব দরবারে মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।

তিনি বলেন, যদি আপনাদের এটাই প্রত্যাশা হয় তাহলে সবসময়ই আমরা আপনাদের পাশে থাকব।

তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে গভীর চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হলো না। এরপর দেশবাসী দেখেছেন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন; অর্থ লুটপাট, হাওয়া ভবনের দৌরাত্ম্য, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, বাংলা ভাইয়ের উত্থান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী ও দুই সংসদ সদস্যসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা, জমি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি, মানিলন্ডারিং, দুর্নীতি। ৬৩ জেলায় একসঙ্গে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৪ সালে ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতাকর্মী হত্যা, সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা, দেশব্যাপী নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার- সমগ্র দেশ যেন জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়েছিল। দেশবাসী প্রতিনিয়ত সে যন্ত্রণায় দাহ হচ্ছিলেন।

এমনি পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাত বছর দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত ২১ বছর এবং ২০০১ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত বছর- এই ২৮ বছর বাংলাদেশের জনগণ বঞ্চিত থেকেছে।

তিনি বলেন, যারা ক্ষমতা দখল করেছে তারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিল। জনগণের কল্যাণে তারা কোনো ভূমিকা রাখেনি। বরং আমরা জনকল্যাণে যেসব কাজ হাতে নিয়েছিলাম তারা তা বন্ধ করে দেয়।

২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আশু করণীয়, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, গ্রহণ করেছি দশ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা।

আমরা দিন বদলের সনদ ঘোষণা দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনাদের জীবনমান সহজ করা এবং উন্নত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা আজ সেসব সেবা পাচ্ছেন। দেশে ১৩ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপন করে ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে জনগণ ২০০ ধরনের সেবা পাচ্ছেন।

৯ বছর একটানা জনসেবার সুযোগ পেয়েছি বলেই বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। জনগণ এর সুফল ভোগ করছেন।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর