আপডেট :

        আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থগিত করা হলো

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        মালয়েশিয়ায় মহড়া চলাকালীন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

        ইরানে ব্যাপক হামলা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

        ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপের অগ্রগতির নির্দেশ

        দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে

        শাহি লাচ্ছি ও শসা-লেবুর শরবতের রেসিপি

        টঙ্গীতে ঝুটের গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে

        অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি ১২৭ জনের

        তিন সপ্তাহে ফোনের বিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ডলার

        টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্লান্ত মোস্তাফিজকে চায় না বিসিবি

        জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

        ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তির মৃত্যু

        যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলা, মৃত ২

        সুদহার কমানো নিয়ে ফেডের নতুন ভাবনায় আরও শক্তিশালী মার্কিন ডলার

কোটা আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যার হুমকি ছাত্রলীগের : জিডি নেয়নি পুলিশ

কোটা আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যার হুমকি ছাত্রলীগের : জিডি নেয়নি পুলিশ

মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতারা আমাদের হত্যার হুমকি দেন। এরপর শাহবাগ থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি।

বললেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক।

তিনি বলেন, থানায় আমাদের অভিযোগ শোনার পর আধাঘণ্টা বসিয়ে রাখে। কিন্তু জিডি নিতে বলা হলে তারা বলেছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জিডি নিতে পারব না।

বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক এ অভিযোগ করেন।

নুরুল হক বলেন, প্রথমত আমি রাষ্ট্রের একজন নাগরিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। আমাদের জিডি না নিয়ে পুলিশ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, নিরাপত্তা না দিয়ে পুলিশ যে আচরণ দেখিয়েছে, তা আমরা ভালোভাবে নিইনি। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া পুলিশের কর্তব্য।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন থাকবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরষিদের নেতা নুরুল হক ও রাশেদ খাঁনকে ছাত্রলীগ গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ছাত্রলীগ নেতাদের হুমকির প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা। এ সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা। পাশাপাশি সরকার ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নিরাপত্তার দাবি জানান তারা। হত্যার হুমকির বিষয়ে শাহবাগ থানায় জিডি করলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে তা নেয়ার বিষয়ে সময় চাওয়া হয়।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে মুহসীন হলে নুরুল হকের ১১৯ নং কক্ষে আসেন সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি, মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী, চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম লিমন এর নেতৃত্বে আরো ১৫-২০ জন। এই সময় নুরুল হকের রুমে ছিল আন্দোলনের আরেক যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন। ঘটনাস্থলে হাফ-প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় আসেন বাপ্পি। এ সময় তার পকেটে পিস্তল দেখা যায়।

সূত্র জানায়, কোটা আন্দোলনের নেতাদেরকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন- ‘তোরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিস। তোদের একটাকেও ছাড়া হবেনা। প্রজ্ঞাপনটা জারি হলে কুকুরের মতো গুলি করে রাস্তায় মারবো’। তোরা তো কেউ বাচঁবিনা। বেশি বাড়াবাড়ি করিসনা। শেষবারের মতো মা বাবার দোয়া নিয়ে নিস’। এই সময় সানী এবং লিমন তাদের উপর হামলা করার জন্য বারবার তেড়ে আসেন। কিন্তু অন্যরা তাদের নিবৃত্ত করে।

এ বিষয়ে নুরুল হক বলেন, ‘আমি এবং রাশেদ দু’জনে রুমে ছিলাম। এর মধ্যে চারুকলা অনুষদের ছাত্রলীগের সেক্রেটারী লিমন ফোন দিয়ে থ্রেট দেয় যে আমাকে হল থেকে পিটিয়ে নামিয়ে দিবে। আমরা নাকি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি’। এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি ফোন নিয়ে বলেন ‘ছাত্রদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মারছি। তোদের মতো পোলাপানকে খেয়ে দিতে দুই সেকেন্ড ও লাগেনা। তোগোরে গুলি কইরা মারিনাই শুধু কিছু সিনিয়রের নিষেধ ছিল। তা না হলে তোদের মতো কুলাঙ্গারদের রাখতামনা এই দেশে’। এর ১০ মিনিট পরে রুমে পিস্তল নিয়ে এসে বলে ‘তোরা মা-বাবার কাছে দোয়া নিয়ে নে। তোরা বাচঁবিনা। তোদের গুলি করে মারবো’। তারা রুমে এসে আমাদের মোবাইল নিয়ে যায়, যাতে রেকর্ড করতে না পারি। আমরা এখন জীবন নাশের হুমকিতে আছি।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর