আপডেট :

        অপরাধ সাম্রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা

        চাঁদপুরে সেই পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপর পদক্ষেপ

        বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিলেও গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ

        তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় সারা দেশে হিট অ্যালার্ট

        কোয়াডকপ্টার উড়িয়ে শত্রুরা ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে যা তাদের নিজেদের জন্যই অপমানজনক

        কোয়াডকপ্টার উড়িয়ে শত্রুরা ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে যা তাদের নিজেদের জন্যই অপমানজনক

        বিয়ে করতে গেলেন হেলিকপ্টার নিয়ে গেলেণ বর

        ইরানের ইস্পাহান শহরের জারদানজান এলাকায় একটি পারমাণবিক স্থাপনায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত সামরিক বাহিনীর সদস্যরা

        যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের মানববন্ধন ও সমাবেশে

        সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১৫টি গাড়িকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে

        সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১৫টি গাড়িকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে

        নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে বললেন রাষ্ট্রপতি

        নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে বললেন রাষ্ট্রপতি

        শাহজালালের থার্ড টার্মিনালে ঢুকে গেল রাইদা বাস, প্রকৌশলীর মৃত্যু

        ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট গ্রহন

        রাসেল মাহমুদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়েও পায়নি মোহামেডান

        তূর্ণা ও কক্সবাজার এক্সপ্রেসে কাটা পড়লো ২ জন

        প্রতারিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা

        সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি

        সিলেট নগরীতে ২১ এপ্রিল থেকে কোভিডের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ প্রদান করা হবে

যে যাই বলুক, অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যে যাই বলুক, অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ব্যাপক প্রাণহানিতে সমালোচনা হলেও এই অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বরং অভিযান আরও প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

অভিযানের ২০তম দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মাদকবিরোধী জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে ছিলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াও।

অনুষ্ঠানে পুলিশের পক্ষ মাদকবিরোধী প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। এতে লেখা ছিল, ‘মাদক পরিহার করুন, নিজে বাঁচুন, আগামী প্রজন্মকে বাঁচান।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে মাদকের আগ্রাসন থেকে জনগণকে মুক্ত করাই এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

‘মাদক নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের এই ঢাকা মহানগরীতে কোনো স্থান নাই। তাদের বলতে চাই, মাদক নিয়ে কারো কোনো কথা শোনা হবে না।’

গত ৪ মে থেকে মাদকের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সাঁড়াশি অভিযানে নিহত হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি। গত চার দিনেই এই সংখ্যাটি ৪০ ছুঁয়েছে।

সন্ত্রাস দমনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সাল থেকেই বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কথা শোনা যাচ্ছে। এর প্রতিটি ঘটনায়ই বর্ণনা মোটামুটি একই রকম।

সন্দেহভাজনকে নিয়ে পুলিশ বা র‌্যাব অভিযানে গেলে বা কোনো আস্তানায় অভিযানে গেলে সন্দেহভাজন বা তার সহযোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করে। আর পাল্টা গুলির এক পর্যায়ে নিহত হন সন্দেভাজন।

এই বর্ণনা নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ সংশয় ছিল। এবার মাদকবিরোধী অভিযানে প্রাণহানির ঘটনায়ও একই ধরনের বর্ণনা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনী আক্রান্ত হওয়ার পর বাধ্য হয়েই গুলি করে।

মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল অবিলম্বে অভিযানে বন্দুকের ব্যবহার থামানোর দাবি জানিয়েছেন। আর অভিযান নিয়ে প্রতিদিন সমালোচনা করে আসছে বিএনপি। তাদের দাবি, অভিযানের মূল উদ্দেশ্য তাদের কর্মীদেরকে হত্যা করা।

তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে, তাদের নাম সতর্কতার সঙ্গে যাচাই বাছাই করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা কয়েক মাস ধরে পুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে একটি তালিকা করেছি। সেই তালিকা অনুযায়ী একে একে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নির্মূল করার পর এবার মাদক নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।’

মাদকের বিরুদ্ধে রাজনীতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মাদকের ভয়াবহতার বিষয়টিও তুলে ধরেন কামাল। বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন মাদকের নেশায় জড়িয়ে ঐশী কীভাবে তার মা-বাবাকে হত্যা করেছে। একটি পরিবারে যদি একটি মাদকসেবী থাকে তাহলে সে পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়।’

সন্তান বা স্বজনদের বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতনতার ওপরও জোর দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘খোঁজ রাখুন, আপনার সন্তানরা কোথায় কী করছে।’

অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও, ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বিভিন্ন বাসে মাদকবিরোধী স্টিকার সেঁটে দেন।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর