আপডেট :

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        দেশে একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে

        ইউক্রেনে গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

        আবহাওয়া বিবেচনায় খোলা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

        ‘ব্ল্যাক’ ফিরে যাচ্ছে পুরনো লাইনআপে!

        অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ

        রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় আগুন

        উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে

        বাস দুর্ঘটনায় বাবা নিহত, মা-ছেলে মুমূর্ষু

        ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট বাড়বে শারীরিক অস্বস্তি

        মোবাইল ইন্টারনেট গতির সূচকে আরও ৬ ধাপ পিছিয়ে ১১২তম অবস্থানে

        মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের

মুসলিমদের প্রবেশ ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলো মার্কিন সরকার

মুসলিমদের প্রবেশ ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলো মার্কিন সরকার

ট্রাম্পের আদেশের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতায় আসার পর ৭টি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্টের এ আদেশকে ‘বৈষম্যমূলক’ উল্লেখ করে তা স্থগিত করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি আদালত। এখন একই আদেশ পুনর্বহালের জন্য হোয়াইট হাউজ আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে নয় জন বিচারকের একটি বেঞ্চে তাদের আবেদন পেশ করেছে।প্রেসিডেন্টের আদেশ স্থগিতকারী ওই রায়ের বিরুদ্ধে আমেরিকার সরকার এখন জরুরি ভিত্তিতে দুটি আবেদন পেশ করেছে।


বিচার বিভাগের মুখপাত্র সারা ইসগার ফ্লোরেস নতুন এ আবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টকে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি শোনার আবেদন জানিয়েছি এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকি থেকে দেশকে নিরাপদ রাখতে এবং জনগণকে সুরক্ষা দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে তার আইনি অধিকারের মধ্যে থেকেই কাজ করছেন, সে ব্যাপারে আমাদের আস্থা আছে বলে মনে করছি।’মুখপাত্র বলেন, ‘যে সব দেশ সন্ত্রাসবাদ লালন করে বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়, সে সব দেশ থেকে প্রেসিডেন্ট কাউকে ঢুকতে দিতে বাধ্য নন, যতক্ষণ না সেই ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে এবং আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য সে হুমকি নয়, সেটা নিশ্চিত হচ্ছে।’


ট্রাম্প প্রশাসন এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে পুনর্বহাল করার জন্য আদালতকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। আদালত এখন সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ আবেদন শুনবে কি না। তারা যদি শোনার সিদ্ধান্ত নেযন, তাহলে তা হবে অক্টোবরে।এদিকে, এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধীরা তাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছে। আমেরিকান সিভিল লির্বাটিস ইউনিয়ন টুইট করে জানিয়েছে, ‘আমরা একবার এই বিদ্বেষপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রদ করেছি, আবার তা করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’


ন্যাশানাল ইমিগ্রেশন ল’ সেন্টারের আইন বিষয়ক পরিচালক ক্যারেন টামলিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘বারবার আমাদের দেশের আদালতগুলো বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিমদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে ভয়মুক্ত স্বাধীন জীবনযাপনের অধিকারের জন্য আমরা আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখব।’


উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যেই এই নির্বাহী আদেশে সই করেন। এই আদেশে বলা হয়, সোমালিয়া, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, সুদান, লিবিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের ৯০ দিনের জন্য আমেরিকায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং সব রকম শরণার্থী কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়।এই নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন করতে যেয়ে দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি হয় এবং বেশ কিছু শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়।


এরপর ওয়াশিংটন স্টেট এবং মিনেসোটা থেকে প্রাথমিকভাবে আনা আইনি চ্যালেঞ্জের পর এর বাস্তবায়ন বন্ধ করা হয়। ট্রাম্প এরপর মার্চ মাসে আইনি ইস্যুগুলো আমলে নিয়ে পরিবর্তিত আদেশে সই করেন এবং তাতে ইরাককে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু ১৬ মার্চ মেরিল্যান্ডের একটি স্থানীয় আদালত এ আদেশকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে রায় দেওয়ার পর তা আবারও স্থগিত হয়ে যায়। হাওয়াই এর আদালতও এটি বৈষম্যমূলক বলে রায় দেন এবং জাতীয় নিরাপত্তার যে যুক্তি সরকার দেখাচ্ছে সেটিকে ‘প্রশ্নসাপেক্ষ’ বলে মন্তব্য করেছেন। 


গত মাসে ভার্জিনিয়ার কেন্দ্রীয় আপিল আদালত ট্রাম্পের আদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সরকারের জাতীয় নিরাপত্তার স্বপক্ষে দেওয়া যুক্তিকে ‘পরোক্ষ যুক্তি’ এবং প্রাথমিকভাবে এটি দেশটিতে মুসলিমদের ঢোকা বন্ধ করার লক্ষ্যে এবং ধর্মীয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের এই নয় সদস্য বেঞ্চের অন্তত পাঁচ জন বিচারককে এটি সমর্থন করতে হবে। 

 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর