আপডেট :

        ক্যাসিনোকাণ্ডের প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন

        যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিপরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস

        ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের ধরপাকড়

        দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে

        রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফের আরও ৭ সহযোগী গ্রেপ্তার হলেন

        স্বর্ণের দাম কমলো

        ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এবং সেটি দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষন

        হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যা করনীয়ঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

        অপহরণ ও নির্যাতনের শিকারদেলোয়ারকে সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

        আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থগিত করা হলো

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        মালয়েশিয়ায় মহড়া চলাকালীন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

        ইরানে ব্যাপক হামলা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

        ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপের অগ্রগতির নির্দেশ

আজান শুনে ক্ষেপে গেলেন আ’লীগ নেতা আনহার, শাসালেন ইমামকে

আজান শুনে ক্ষেপে গেলেন আ’লীগ নেতা আনহার, শাসালেন ইমামকে

আনহার মিয়া। বালাগঞ্জ উজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মধ্যবিত্ত পরিবারের আনহার এক সময় নিজ গ্রাম চান্দাইড়পাড়া স্কুলের পাশে চাচার দোকানে চা বিক্রি করতেন। এর পর কাজ শুরু করেন একটি ইন্সুেরেন্স কোম্পানীতে। আর ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে কাজ করা কালিন সময়ে আওয়ামীলীগের একটি অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। তৎক্ষালিন যুবলীগ নেতা ফারুক মিয়ার আশির্বাদে দলে বেশ ভালো অবস্থান করে নেন। এরপর বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালিন চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান (আখল মিয়া) আকস্মিক মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তার আচার আচরণে বেশ পরিবর্তন আসে। স্থানীয় মুরব্বিদের সাথে শুরু করেন দূর্ব্যবহার ফলে চেয়ারটি বেশীদিন ধরে রাখতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর গত নির্বাচেন প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার হন।

এর পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। তার কবল থেকে এখন রক্ষা পাচ্ছেনা মসজিদ ও আজানও। আজান শুনলে তার মনে জ্বালা শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় মসজিদে আযান দেয়ায় ইমামকে ডেকে এনে সাশালেন তিনি। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

আনহার মিয়ার অভিযোগ, আজানের কারনে তিনি মিটিং করতে পারেন না। উনার মিটিংয়ের সময় নাকি আজান দিয়ে বাধাঁ প্রদান করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে একটি অনুষ্টানে আজান ও ইমাম সম্পর্কে তার এমন আপত্তিকর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মত মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এতে করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনা চলছে।
তার এধরনের মন্তব্যে বিব্রত আওয়ামীলীগ।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একাধিক দ্বায়িত্বশীলরা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রত এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজান নিয়ে এরকম মন্তব্য করা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্থানীয় নতুন বাজারে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভা চলছিল। সভা চলাকালীন সময়ে পাশের মসজিদে যোহরের আজান দেন মসজিদটির ইমাম।

এসময় আনহার মিয়া বলেন, ‘আদিলকিলামি করইন, কোনখান মিটিং মাটিং দেখলে তারা দেওয়ানা অইযায় আজান দেওয়ার লাগি। কেনে আজান দুই মিনিট আগে দিল অখানর জওয়াপ দিত অইব। কেনে দুই মিনিট আগে আজান দিল, অনুষ্টান দেখলে দেওয়ানা অই যায়।কিতা পাইছে ইতা ইসলাম আলার ঘরোর ইসলামআলা হখল’

এর পর তিনি মাইক হাতে নিয়ে বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে কোন জাতীয় অনুষ্ঠানে আজান দিয়ে বাধা দেয়া হয়। এর কারন হচ্ছে অনুষ্ঠানে বাঁধা দেয়া। কোনো অনুষ্ঠান হলে এখানে আজানের প্রতিযোগীতা হয়। আমি মসজিদ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, কেন দুই মিনিট আগে আজান দেওয়া হলো আমি বুঝলামনা।’

এসময় আনহার মিয়া জামাল নামে একজনকে মসজিদের ইমামকে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মুরব্বী বলেন, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিধর্মী হয়েও আজানের সময় তার বক্তব্য বন্ধ রাখেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও যেখানে আজানকে সম্মান করেন সেখানে তার এরকম মন্তব্য ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে। যা আগামী নির্বাচনে আনহার মিয়া ও তার দলের জন্য ক্ষতির কারন হবে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালজুড় ইউপি চেয়ারম্যান আনহার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

বালাগগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর বলেন, আমি এলাকার বাহিরে আছি। তাই বিষয়টি জানিনা খোঁজ নিয়ে দেখিছি।

আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, আজান নিয়ে সে কি বলেছে আমি জানি না, খবর নিয়ে দেখতেছি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান বলেন, আমি ভিডিওটি দেখিনি, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।


এলএবাংলাটাইমস/এ/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত