আপডেট :

        স্বর্ণের দাম কমলো

        ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এবং সেটি দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষন

        হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যা করনীয়ঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

        অপহরণ ও নির্যাতনের শিকারদেলোয়ারকে সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

        আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থগিত করা হলো

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        মালয়েশিয়ায় মহড়া চলাকালীন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

        ইরানে ব্যাপক হামলা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

        ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপের অগ্রগতির নির্দেশ

        দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে

        শাহি লাচ্ছি ও শসা-লেবুর শরবতের রেসিপি

        টঙ্গীতে ঝুটের গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে

        অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি ১২৭ জনের

        তিন সপ্তাহে ফোনের বিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ডলার

        টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্লান্ত মোস্তাফিজকে চায় না বিসিবি

চার দশকে বণ্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ!

চার দশকে বণ্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ!

বণ্যপ্রাণী কমে যাওয়ার পিছনে অনেকাংশে দায়ী মানুষ

গত চার দশকে পৃথিবীজুড়ে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা গড়ে ৬৮% হ্রাস পেয়েছে, যা মোট বণ্যপ্রাণীর প্রায় দুই তৃতীয়াংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বণ্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে, যার পরিমাণ প্রায় ৯৪ %। সম্প্রতি 'ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড' এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। 

'দ্য লিভিং প্ল্যানেট রিপোর্ট- ২০২০' শিরোনামের এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪,৩৯২ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, পাখি, উদ্ভিদ, জলজ মাছ ও উভচর প্রাণী। গত কয়েক মিলিয়ন বছরের মধ্যে বণ্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ার হার এবারই সর্বোচ্চ।  
গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, মানুষের মাত্রাতিরিক্ত ভোগবাদী আচরণ, তৃণভূমির রূপান্তর এবং বন ও জলজ এলাকার পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে বণ্যপ্রাণীর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ বরফ-মুক্ত অঞ্চলকে ভোগবাদী আচরণের মাধ্যমে বিনষ্ট করে ফেলেছে। ফলে ভবিষ্যৎ শতকগুলোতে পৃথিবী থেকে পাঁচ লাখ প্রাণী ও উদ্ভিদ এবং পাঁচ লাখ কীটপতঙ্গ সম্পূর্ন বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। তবে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও ভোগবাদী আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে এই বিলুপ্তি রোধ করা সম্ভব হবে। 

গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সবচেয়ে দ্রুত কমছে মিঠাপানির জলজ প্রাণীর সংখ্যা। ১৯৭০ সালের পর থেকে প্রতিবছর মিঠাপানিতে বসবাস করা স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ এবং জলজ মাছের সংখ্যা চার শতাংশ করে কমছে। 

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের প্রধান বিজ্ঞানী রেবেকা শো জানান, সবচেয়ে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে মিঠাপানির প্রাণীর সংখ্যা। পাশাপাশি জলজ প্রাণীগুলোর ইকোসিস্টমের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। 


'বণ্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ার পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী মানুষ' উল্লেখ করে রেবেকা শো বলেন, একুশ শতাব্দীর মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও ভোগবাদী আচরণের কারণে বণ্যপ্রাণীর সংখ্যা হুমকির মুখে পড়েছে। মানুষ খাদ্যের জন্য রেইনফরেস্ট বিনষ্ট করে কৃষিজমি তৈরি করছে। তাছাড়া মানুষ পৃথিবীর বায়োক্যাপাসিটির ৫৬ শতাংশের বেশি পুনঃব্যবহার করছে। 

তিনি আরো বলেন, সাধারণত যেসব প্রাণী সম্পূর্ণ বিলুপ্তির পথে, সেসব নিয়েই সাধারণত মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু ক্রমাগত  প্রাণীর সংখ্যা কমে যেতে থাকলে ইকোসিস্টেমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে প্রাণী থেকে মানুষে রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা আরো বাড়বে। 



এলএবাংলাটাইমস/ওএম 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর