প্রবাস

জর্জিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্লাবনীর গৌরবময় সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থী গৌরবময় সাফল্য অর্জন করেছেন। ‘ফিউচার বিজনেস লিডার অব আমেরিকা’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন প্লাবনী বিনতে শরীফ নামের সেই শিক্ষার্থী।

জর্জিয়ার মিডো ক্রিক হাইস্কুলের এগারো গ্রেডের (একাদশ শ্রেণি) শিক্ষার্থী হিসেবে এ সাফল্য লাভ করেন প্লাবনী। তিনি মা-বাবার সঙ্গে জর্জিয়ার আটলান্টায় বসবাস করেন।

মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এ কৃতিত্বের মাধ্যমে তিনি দেশের সুনামও কুড়িয়েছেন।

প্লাবনী স্থানীয় বীমা ব্যবসায়ী শরীফ ইসলাম ও সালেহা বিলকিসের মেয়ে এবং দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুর ভাগ্নি।

প্লাবনী ‘ফিউচার বিজনেস লিডার অব আমেরিকা’ হয়ে একই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

রবিবার (৯ জুলাই) স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা উপলক্ষে এক জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মিডো ক্রিক হাইস্কুলের সহপাঠী, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের জন্য গৌরব নিয়ে আসায় প্লাবনীর সাফল্য কামনা করে বক্তব্য দেন বিশিষ্টজনরা।

সালেহা বিলকিস জানান, ‘মেয়ের সাফল্যে আমরা গর্বিত। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির ওপর প্লাবনীর ভীষণ নেশা। মা হিসেবে আমি চাই ভবিষ্যতে ও খুব ভালো একজন প্রকৌশলী হয়ে দেশের সেবা করুক।’

প্লাবনীর বাবা শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত বদল করি। তার ইচ্ছানুযায়ী জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি পাবলিক ইউনিভার্সিটি অব আটলান্টায় বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করাই। সে ভবিষ্যতে একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। মেয়ের এ সাফল্যে আমরা গর্বিত।’

প্লাবনীর জন্ম জর্জিয়ায়। কিন্তু তার পৈতৃক ভিটে বাংলাদেশে। মা সালেহা বিলকিস, যশোরের উপশহরে বেড়ে উঠেছেন। বাবা শরীফ উল ইসলামের পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। শরীফ-বিলকিস দম্পতি ’৯০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। জর্জিয়ার রাজধানী আটলান্টার খুব কাছে নরক্রস সিটিতে বসবাস করছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম হলেও প্লাবনী বাংলায় কথা বলতে পারেন। তিনি জানান, মা-বাবার কাছ থেকেই তার বাংলা শেখা।

বাংলাদেশ সম্পর্কে তার কী ধারণা, প্রশ্ন করলে প্লাবনী বলেন, ‘আমার শেকড় তো বাংলাদেশে। দাদী, নানা-নানী, মামারা সবাই বাংলাদেশে আছেন। অসম্ভব ভালোবাসি বাংলাদেশকে।’

প্লাবনীর স্বপ্ন বড় হয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়া।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে বলে জানান প্লাবনী।