প্রবাস

মেট্রো ওয়াশিংটনে ইস্টার উদযাপন

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালিত হলো ইষ্টার পর্ব। পারিবারিক শান্তি ও পারিবারিক বন্ধন অটুক রাখার মন্ত্র নিয়ে গ্রেটার ওয়াশিংটন এলাকায় পর্ব পালিত হয়েছে। ১ এপ্রিল সকালে মেরিল্যান্ড এর সিলভার স্প্রিং এলাকার সেন্ট ক্যামিলাস ক্যাথলিক গির্জার ক্যামিলা হলে সকালের পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার রবার্ট দিলীপ গোমেজ, সিএসসি। চার শতাধিক প্রবাসী বাঙালি খ্রীষ্টভক্ত এতে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলা চার্চ কমিটির আয়োজনে এই মহা খ্রীষ্টযাগে ফাদার রবার্ট বলেন, পরিবার হলো মিলনের স্থান। এই মিলনের মধ্যে থাকে পিত-মাতা ও সন্তানের মধ্যে নিবিড় ভালোবাসা। তিনি বলেন, ভালোবাসার মাধ্যমে আসে শান্তি। প্রভু যীশু খ্রিষ্ট এমন শান্তির মধ্যে প্রতিনিয়ত পুনরুত্থান করেন। তিনি  বলেন, বর্তমান জগতের আধুনিকতা অনেক সময় পরিবারে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। সন্তান ও পিত-মাতার মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। তিনি বলেন, পিতামাতাকে তাদের সন্তানদের বেশি সময় দিতে হবে।
খ্রীষ্টযাগের শুরুতে পবিত্র বাইবেল নিয়ে শোভাযাত্রা করে ফাদার বেদিতে যজ্ঞ নিবেদন করেন।

খ্রীষ্টযাগ শেষে ফাদার রবার্ট সবাইকে নতুন করে দীক্ষা নবায়ন করেন।

ইষ্টার উপলক্ষ্যে স্থানীয় সংগঠনগুলো পৃথক পৃথক কর্মসূচি নিয়েছে। বাঙালি-আমেরিকান খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন ক্যামিলা হলে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় ইস্টারের বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট স্ট্যানলি খোকন বলেন, বাংলা সাংস্কৃতিক ধারক-বাহক বাংলা-আমেরিকান খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছ। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই মূল লক্ষ্য। তিনি মি. স্ট্যানলি খোকন বলেন, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে উদযাপন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন, বড়দিন ও ইষ্টার পর্ব উদযাপন, বাৎসরিক পিকনিক, ধর্মীয় তীর্থ ও ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় উৎসাহী করতে বৃত্তি প্রদান করে আসছে এই সংগঠন।
এছাড়া একই দিনে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন ইষ্টার উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্থানীয় একটি স্কুলে।

একালের আরো একটি সংগঠন ইছামতি আগামী ৭ এপ্রিল ব্রিজচেনি  মিডল স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।


এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি