টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সান অ্যান্টোনিও শহরে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার টানা ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিকভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় এই দুর্যোগ ঘটে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে তীব্র বৃষ্টির ফলে সড়কগুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে। পানির স্রোতে অনেক গাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের খালে পড়ে যায়। সান অ্যান্টোনিও ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, অন্তত চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং তাদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চলছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ফায়ার ডিপার্টমেন্ট কুকুর (K9 ইউনিট) ও অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্টেটওয়াইড সার্চ ও রেসকিউ ফোর্সের সহযোগিতা চেয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০টিরও বেশি পানিবন্দি উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তবে তারা সবাই সামান্য আহত।
নিহত তিনজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন: মার্থা ডে লা টোরে র্যাঙ্গেল, ম্যাথিউ অ্যাঞ্জেল টুফোনো এবং ভিক্টর ম্যানুয়েল ম্যাসিয়াস কাস্ত্রো। এরা সবাই ভোর ৫টার দিকে Perrin Beitel এলাকায় গাড়ির মধ্যে আটকা পড়ে মারা যান।
একজন নারী, অ্যাঞ্জেল রিচার্ডস, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার স্বামী স্টিভি কাজে যাওয়ার সময় ফোনে জানিয়েছিলেন যে তিনি বন্যার পানিতে আটকা পড়েছেন। "আমি যখন ফোনে ছিলাম, তখনই এটা ঘটেছে," বলেন রিচার্ডস, "তারপর কোনো যোগাযোগ নেই, আমার গাড়ি পড়ে আছে, এটা খুবই বিধ্বংসী। কেউই বলতে পারছে না, কী ঘটছে।"
সান অ্যান্টোনিওর মেয়র রন নিেরনবার্গ এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এক্স (পূর্বের টুইটার) পোস্টে তিনি লেখেন, “এই সপ্তাহের আকস্মিক বন্যায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং যারা এখনো নিখোঁজ, তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।”
সান অ্যান্টোনিওর কংগ্রেসম্যান জোয়াকিন কাস্ত্রো এই বন্যাকে “একটি ট্র্যাজেডি” বলে উল্লেখ করে বলেন, “আমার প্রার্থনা তাদের পরিবারের সঙ্গে যারা এই বন্যায় প্রিয়জন হারিয়েছেন। সান অ্যান্টোনিও সবসময় একসঙ্গে থাকে যখন কোনো বিপর্যয় আসে।”
এই ঘটনায় শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম