১৪ জুন ২০২৫ তারিখে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভের অবতারণা ঘটেছে। বিক্ষোভগুলো "নো কিংস" (“No Kings”) শ্লোগানে সংগঠিত, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের "তান্ত্রিক" ও স্বৈরতান্ত্রিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে আয়োজিত। একদিন আগে, ওয়াশিংটন, ডি.সি.–তে অনুষ্ঠিত একটি বিশাল সামরিক প্যারেডের সময় এই বিক্ষোভগুলো সমান্তরালে চলছে।
ওয়াশিংটনের জাতীয় মলে মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী এবং ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্যারেডে প্রায় ৬,০০০ সৈনিক, ১২৮ ট্যাংক ও অগ্নিপর্যাপ্ত বিভিন্ন সামরিক যানবাহন ও হেলিকপ্টার অংশ গ্রহণ করে । এর খরচ প্রায় ২৫-৪৫ মিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে এবং এতে ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ের পারদর্শিতা প্রদর্শিত হয়েছে, যেমন–বস্টন ত্যাগ সহ মার্কিন রেভোলিউশনারি যুদ্ধে ব্যবহৃত সামরিক ইউনিফর্ম প্রদর্শন ।
তবে, একই দিনে দেশের প্রায় ২,০০০ শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নিউ ইয়র্কে ২ লাখেরও বেশি মানুষ, ফিলাডেলফিয়ায় ১ লাখের কাছাকাছি জনসমাগম হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশকে গ্যাস ও ফ্ল্যাশ-ব্যাং গ্রেনেড ব্যবহারে বাধ্য হতে দেখা যায় । “নো কিংস” আন্দোলনের আয়োজক ৫০৫০১ গ্রুপ ভারতে ‘50501 movement’ নামেও পরিচিত, এর লক্ষ্য ছিল দেশব্যাপী স্বৈরতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে সংহতি সৃষ্টি।
বিক্ষোভগুলো মোটেই সহিংস ছিল না, যদিও কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা যায়। মিনেসোটায় একটা রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত হামলায় এক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা ও তাঁর স্বামী নিহত হন; আরেকজন ও তার স্ত্রীও আহত হন । ভার্জিনিয়ায় গাড়ি চালকের আচরণে কিছু ফড়িং ঘটনা ঘটে, তবে কোন বড় ধরনের হতাহত বা প্রাণহানি হয়নি । বিক্ষোভকারীরা প্রধানত ট্রাম্পের সশস্ত্র শক্তি ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ সামরিক উপস্থিতি, অভিবাসন নীতি ও সাংবিধানিক অধিকারের হরণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, “কোনো এক ব্যক্তিই আইন ছাপিয়ে থাকতে পারেন না।” প্রায় ৫ মিলিয়ন লোকের অংশগ্রহণের দাবী করে আয়োজকরা । সার্কাস-ধরা এই দুই দিনের ঘটনাবলির পেছনেও গভীর রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এক দিকে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ নীতিমালার ভয়, অন্য দিকে প্যারেডে ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও সামরিক মর্যাদার মহিমা—এই দ্বন্দ্বে আজ মার্কিন নাগরিক সমাজ দুই খণ্ডে বিভক্ত।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
বিক্ষোভগুলো মোটেই সহিংস ছিল না, যদিও কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা যায়। মিনেসোটায় একটা রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত হামলায় এক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা ও তাঁর স্বামী নিহত হন; আরেকজন ও তার স্ত্রীও আহত হন । ভার্জিনিয়ায় গাড়ি চালকের আচরণে কিছু ফড়িং ঘটনা ঘটে, তবে কোন বড় ধরনের হতাহত বা প্রাণহানি হয়নি । বিক্ষোভকারীরা প্রধানত ট্রাম্পের সশস্ত্র শক্তি ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ সামরিক উপস্থিতি, অভিবাসন নীতি ও সাংবিধানিক অধিকারের হরণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, “কোনো এক ব্যক্তিই আইন ছাপিয়ে থাকতে পারেন না।” প্রায় ৫ মিলিয়ন লোকের অংশগ্রহণের দাবী করে আয়োজকরা । সার্কাস-ধরা এই দুই দিনের ঘটনাবলির পেছনেও গভীর রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এক দিকে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ নীতিমালার ভয়, অন্য দিকে প্যারেডে ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও সামরিক মর্যাদার মহিমা—এই দ্বন্দ্বে আজ মার্কিন নাগরিক সমাজ দুই খণ্ডে বিভক্ত।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম