যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (DHS) গোপনে নতুন একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে, যা কংগ্রেস সদস্যরা যখন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) এর অফিস বা ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শনে যেতে চান, তখন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
এই নতুন নীতিমালার কারণে কংগ্রেসের একাধিক সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিদ্যমান আইনের অধীনে, কংগ্রেস সদস্যদের অঘোষিতভাবে ICE ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শনের আইনগত অধিকার রয়েছে। তবে DHS তাদের ওয়েবসাইটে হালনাগাদকৃত নির্দেশনায় জানিয়েছে, এখন থেকে কংগ্রেস সদস্যদের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে এক ইমেইলের মাধ্যমে পরিদর্শনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। যদিও DHS দাবি করেছে, এই ধরনের অফিসগুলো ডিটেনশন সেন্টারের আওতাভুক্ত নয়।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ICE কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের অনুরোধ বাতিল, স্থগিত বা পুনঃনির্ধারণ করার একক ও পর্যালোচনাবিহীন অধিকার রাখে—এমনকি তারা চাইলে পরিদর্শন চলাকালীনও সেটি বন্ধ করে দিতে পারে।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাউজ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্য বেনি থম্পসন বলেন,
“এই অবৈধ নীতিমালা কংগ্রেস সদস্যদের ICE অফিস পরিদর্শনের অধিকার হরণ করার একটি ছল। এসব অফিসে বহু অভিবাসী, এমনকি কখনও কখনও মার্কিন নাগরিককেও দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়। এগুলো প্রকৃতপক্ষে ডিটেনশন সেন্টার, যা যেকোনো সময় পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনের অধীনে পড়ে। DHS এর এই আচরণ নতুন কোনো মিথ্যা নয়, বরং তাদের পুরনো ধোঁকার নতুন সংস্করণ।” এই নতুন নীতিমালা এমন সময়ে এলো, যখন সম্প্রতি নিউ জার্সির একটি ডিটেনশন সেন্টারের বাইরে কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনা ঘটে, যার ফলে এক আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এই পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশনা কংগ্রেস ও প্রশাসনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং অভিবাসন নীতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম
“এই অবৈধ নীতিমালা কংগ্রেস সদস্যদের ICE অফিস পরিদর্শনের অধিকার হরণ করার একটি ছল। এসব অফিসে বহু অভিবাসী, এমনকি কখনও কখনও মার্কিন নাগরিককেও দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়। এগুলো প্রকৃতপক্ষে ডিটেনশন সেন্টার, যা যেকোনো সময় পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনের অধীনে পড়ে। DHS এর এই আচরণ নতুন কোনো মিথ্যা নয়, বরং তাদের পুরনো ধোঁকার নতুন সংস্করণ।” এই নতুন নীতিমালা এমন সময়ে এলো, যখন সম্প্রতি নিউ জার্সির একটি ডিটেনশন সেন্টারের বাইরে কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনা ঘটে, যার ফলে এক আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এই পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশনা কংগ্রেস ও প্রশাসনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং অভিবাসন নীতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম