অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় হন্ডুরাস ও উগান্ডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ডিপোর্টেশন (ফেরত পাঠানো) চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিবিসির অংশীদার মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস (CBS)।
সিবিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, উগান্ডা সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করা আফ্রিকা ও এশিয়ার এক অনির্দিষ্ট সংখ্যক অভিবাসীকে গ্রহণ করতে। অন্যদিকে হন্ডুরাস আগামী দুই বছরে স্প্যানিশভাষী দেশগুলো থেকে ফেরত পাঠানো কয়েকশ’ অভিবাসী নেবে।
এ পদক্ষেপকে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন একটি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের নিজ দেশের বাইরে অন্য দেশে ফেরত পাঠাতে চায়। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নীতি কঠোরভাবে সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এতে অভিবাসীরা এমন দেশে পাঠানো হতে পারে যেখানে তারা ঝুঁকির মুখে পড়বেন।
চুক্তির শর্ত
চুক্তি অনুযায়ী, উগান্ডা কেবল সেই অভিবাসীদের নেবে যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস নেই। তবে কতজনকে দেশটিতে পাঠানো হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হন্ডুরাস প্রথমে কয়েকশ অভিবাসী নিলেও পরবর্তীতে আরও নিতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শিশু-পরিবারসহ অভিবাসীরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিস্তৃত পরিকল্পনা এ দুটি দেশ ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসন এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফেরত পাঠানোর চুক্তি করছে। এখন পর্যন্ত অন্তত এক ডজন দেশ এই ধরনের চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছিল, প্যারাগুয়ের সঙ্গে “সেইফ থার্ড কান্ট্রি” (তৃতীয় নিরাপদ দেশ) চুক্তি করা হয়েছে। এর আওতায় অবৈধ অভিবাসনের বোঝা ভাগাভাগি করবে দুই দেশ। এ ছাড়া আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি রুয়ান্ডা জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ জন অভিবাসী নেবে। তবে প্রতিটি অভিবাসীকে গ্রহণের আগে রুয়ান্ডার অনুমোদন নিতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে রুয়ান্ডার নাম অতীতে সমালোচনায় এসেছে, বিশেষত সেখানে পাঠানো অভিবাসীদের পুনরায় অন্য দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকির কারণে। এর আগে পানামা ও কোস্টারিকা কয়েকশ আফ্রিকান ও এশিয়ান অভিবাসী নিতে সম্মত হয়েছে। সিবিএস জানিয়েছে, ইকুয়েডর ও স্পেনের সঙ্গেও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ করেছে। আইনি বিতর্ক দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। জুন মাসে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো ছাড়াও অন্য দেশে পাঠানো যেতে পারে। তবে আদালতের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমাইয়র, এলেনা কাগান ও কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন এ রায়ের বিরোধিতা করে এটিকে “গুরুতর অপব্যবহার” বলে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বলছে, এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে, কারণ এতে অভিবাসীরা নিজেদের মাতৃভূমির বাইরের এমন দেশে পাঠানো হচ্ছেন যেখানে তারা নিরাপদ নাও থাকতে পারেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
হন্ডুরাস প্রথমে কয়েকশ অভিবাসী নিলেও পরবর্তীতে আরও নিতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শিশু-পরিবারসহ অভিবাসীরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিস্তৃত পরিকল্পনা এ দুটি দেশ ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসন এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফেরত পাঠানোর চুক্তি করছে। এখন পর্যন্ত অন্তত এক ডজন দেশ এই ধরনের চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছিল, প্যারাগুয়ের সঙ্গে “সেইফ থার্ড কান্ট্রি” (তৃতীয় নিরাপদ দেশ) চুক্তি করা হয়েছে। এর আওতায় অবৈধ অভিবাসনের বোঝা ভাগাভাগি করবে দুই দেশ। এ ছাড়া আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি রুয়ান্ডা জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ জন অভিবাসী নেবে। তবে প্রতিটি অভিবাসীকে গ্রহণের আগে রুয়ান্ডার অনুমোদন নিতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে রুয়ান্ডার নাম অতীতে সমালোচনায় এসেছে, বিশেষত সেখানে পাঠানো অভিবাসীদের পুনরায় অন্য দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকির কারণে। এর আগে পানামা ও কোস্টারিকা কয়েকশ আফ্রিকান ও এশিয়ান অভিবাসী নিতে সম্মত হয়েছে। সিবিএস জানিয়েছে, ইকুয়েডর ও স্পেনের সঙ্গেও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ করেছে। আইনি বিতর্ক দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। জুন মাসে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো ছাড়াও অন্য দেশে পাঠানো যেতে পারে। তবে আদালতের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমাইয়র, এলেনা কাগান ও কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন এ রায়ের বিরোধিতা করে এটিকে “গুরুতর অপব্যবহার” বলে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বলছে, এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে, কারণ এতে অভিবাসীরা নিজেদের মাতৃভূমির বাইরের এমন দেশে পাঠানো হচ্ছেন যেখানে তারা নিরাপদ নাও থাকতে পারেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম