বাংলাদেশ

কোটা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত, তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিল নিয়ে সরকারের গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৮ জুলাই, রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশে-বিদেশে কোটাসংক্রান্ত যেসব তথ্য আছে তা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সংবাদমাধ্যমকে এ সব তথ্য জানান কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

আবুল কাশেম জানান, দেশে-বিদেশে কোটাসংক্রান্ত যেসব তথ্য আছে এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন কমিটির প্রতিবেদন আছে তা সংগ্রহ করা হবে। ওই তথ্যগুলো পাওয়ার পর কমিটির দ্বিতীয় সভা হবে।

যুগ্ম সচিব বলেন, ‘নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই কাজটি শেষ করার চেষ্টা চলছে। এই সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে না পারা গেলে পরে বলা যাবে।’

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রচলিত ব্যবস্থায় ৫৬ শতাংশ আসনে কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। ১০ শতাংশ নারীদের জন্য, জেলাভিত্তিক ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১ শতাংশ কোটা।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, পুরোপুরি বাতিল নয়, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান সরকারি চাকরিতে কোনো কোটাই থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আড়াই মাসেও কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

এরই প্রেক্ষিতে ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিতে ছয়জন সচিবকে সদস্য করা হয়। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

কমিটির ছয় সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব।

 এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি