বাংলাদেশ

খালেদার আইনজীবী কার্লাইলকে ঢুকতে দেয়নি ভারত

দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উপযুক্ত ভিসা না দেখাতে পারায় লর্ড আলেকজান্ডার কার্লাইলকে আটকাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১২জুলাই) দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করার কথা কার্লাইয়ের। বুধবার দিল্লি বিমানবন্দরে কার্লাইলকে আটকে রাখে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘তাঁর (লর্ড কার্লাইল) ভিসার আবেদনে উল্লিখিত সফরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে তাঁর অভীষ্ট তৎপরতার অসংগতি রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সে কারণে পৌঁছানোর পর তাঁকে ভারতে প্রবেশে নাকচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এনডিটিভি জানায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার লর্ড কার্লাইলকে ভিসার অনুমতি দেয়নি। সে কারণে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি খালেদা জিয়ার মামলার জটিলতা তুলে ধরতে চান।

গত ২০ মার্চ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তাঁর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আইনি পরামর্শ দেবেন ব্রিটেনের আইনজীবী লর্ড কার্লাইল। এসব মামলার বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড মেনে চলা হচ্ছে কি না, সেদিকে লক্ষ রাখবেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব জানান, খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলে যুক্ত হওয়ার সম্মতি জানিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন লর্ড কার্লাইল। সেইসঙ্গে মামলার সব বিষয় গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করার কথাও জানিয়েছেন এই আইনজীবী।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলায় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্যই ব্রিটেনের প্রখ্যাত আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে অনুরোধ করা হলে তিনি আমাদের আইনজীবী প্যনেলের সঙ্গে যোগ দিতে সম্মতি জানান। তিনি এখন থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলায় পরামর্শ দেবেন। তিনি দীর্ঘ অনেক বছর ধরে আইনি পেশা ও রাজনীতির সঙ্গে নিয়োজিত আছেন। প্রখ্যাত এ আইনজীবী হাউস অব লর্ডসের সদস্য।’

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। তাঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি