বাংলাদেশ

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে

দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় গত অর্থবছরের তুলনায় ১১ হাজার ৫৭৯ টাকা বেড়েছে। বর্তমান (২০১৭-১৮) অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৯ টাকা।

১৮ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মুস্তফা কামাল জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ১১ হাজার ৫৭৯ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ লাখ ৩২ হাজার ২১০ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ২০ হাজার ৩০৩ টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৬৭ টাকা।

হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে অনুযায়ী, ২০১০ ও ২০১৬ সালের দারিদ্র ও হতদারিদ্রের কমার হার বিবেচনা করে এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারের ওপর ভিত্তি করে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দারিদ্র ও ২০১৮ সালে দারিদ্র ও হতদারিদ্রের হার প্রাক্কলন করা হয়েছে।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে মুস্তফা কামাল জানান, দারিদ্রের হার ২০১৮ সালে কমে হয়েছে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০১৭ সালে ছিল ২৩ দশমিক ১ শতাংশ আর ২০১৬ সালে ছিল ২৪ দশমিক ৩। ২০১০ সালে বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যাও কমেছে। ২০১৮ সালে দেশে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১৭ সালে ছিল ১২ দশমিক ১ শতাংশ, ২০১৬ সালে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং আট বছরে আগে (২০১০ সালে) ছিল ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব তুলে ধরে মুস্তফা কামাল জানান, ডিজিপির আকার ২২ হাজার ৫০৫ বিলিয়ন টাকা। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮৬ শতাংশ, যা সাময়িক হিসাবে এ হার ছিল ৭.৬৫ শতাংশ। মাথপিছু আয় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের অবদান যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, ৩০ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ৫৬ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি কৃষি খাতে ৪ দশমিক ১৯, শিল্প খাতে ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

মন্ত্রী আরও জানান, জিডিপির বিপরীতে বিনিয়োগের শতকরা অনুপাত ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং বেসরকারি ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। জিডিপির বিপরীতে জাতীয় সঞ্চয়ের শতকরা অনুপাত ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।