বাংলাদেশ

মংলা-বুড়িমারী বন্দরে বছরে অবৈধ লেনদেন হয় ৩১ কোটি টাকা

মংলা ও বুড়িমারী বন্দরে সেবা দিতে বছরে প্রায় ৩১ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয় বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা বন্দর ও বুড়িমারী স্থল বন্দরে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলেও দাবি করে সংস্থাটি।

রোববার টিআইবি’র প্রধান কার্যালয়ে মংলা বন্দর ও কাস্টম হাউজ এবং বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন: আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্মেলনে এ দুটি বন্দর ও কাস্টমসের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির করা গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে কিন্তু দুর্নীতিবাজরা শাস্তি পায়। আমাদের দেশেও এমন নজির দরকার।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কার্যক্রম আরও জোরদার করা দরকার। তবে যদি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে দুর্নীতি কমবে না।’

টিআইবির গবেষণায় বলা হয়, এ দুটি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সবগুলো ধাপেই  নিয়ম বহির্ভূতভাবে আর্থিক লেনদেন হয়। গত এক বছরে মোংলা বন্দর ও কাস্টমসে অবৈধ লেনদেন হয় প্রায় ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কাস্টমসে লেনদেন হয় প্রায় ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। মোংলা বন্দরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বুড়িমারী স্থল বন্দরে অবৈধ লেনদেন হয় ১০ কোটি টাকার বেশি।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি