বাংলাদেশ

জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার আইন নেই : ইসি সচিব

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার আইন নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতসহ কোনও যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের কেউ স্বতন্ত্রভাবেও যেন অংশ নিতে না পারে সে দাবি জানাতে মঙ্গলবার কমিশনে সাক্ষাৎ করতে যান ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে ৮ সদস্য।

কমিটির নেতারা আরো দাবি জানিয়েছেন, জামায়াতের অনুসারী বা নেতাকর্মী কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরাধিকারীদের মধ্য থেকে যেন নির্বাচনে কোনোভাবে অংশ নিতে করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। সিইসি এ বিষয়ে বলেছেন, এজন্য প্রয়োজনীয় আইন বাংলাদেশ নেই। পরবর্তীতে বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়টিও আছে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সংগঠনটির নেতারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।

এছাড়া ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে যাতে নির্বাচনে না নিয়োজিত করা হয়, সে দাবিও করেছে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের দাবীগুলো জানিয়েছেন। জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি আইন-কানুন পরীক্ষা করে আমরা অবহিত করবো।

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি তো দল নয়, তারা কি এমন দাবি করতে পারে কিনা এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সচিব বলেন, যে কোনো সংগঠন আলোচনার জন্য সময় চাইলে, সিইসি সময় দিলে, আলোচনা করা যেতে পারে। তারাও তো ভোটার। ভোটাররাও তো আমাদের স্টেকহোল্ডার।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি