বাংলাদেশ

নির্বাচন পেছানোর আর সুযোগ নেই : সিইসি

আসন্ন একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। এরপর আর পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরুর আগে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য বিভাগীয় কমিশনার এবং অন্য জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সিইসি বলেন, বিভিন্ন দলের দাবিতে ভোটের তারিখ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছে। নানা দিক বিবেচনা করে নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নাই। সংসদ ও সরকার বহাল থেকে এবার নির্বাচন হওয়ায় অন্যবারের থেকে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কখনও তত্বাবধায়ক সরকার, কখনও সেনাবাহিনী এবং একক দলের নির্বাচন হয়। তাই এবার ভোটে রাজনৈতিক চাপ বেশি।

কেএম নূরুল হুদা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, এবার নতুন আইনে এবং ভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে। তাই জাতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এছাড়া মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের থেকে চাপ আসলে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব পালনে কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। কমিশনের আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করবেন। অতি উৎসাহী আচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি চালক হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফল করতে হলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সেই গাড়ির ফুয়েল হিসেবে কাজ করে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা জনগুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করবেন।

দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে সোমবার (১২ নভেম্বর) ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের পুনঃতফসিল দেয় ইসি। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৮ নভেম্বর, বাছাই ২ ডিসেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর।

যদিও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তফসিল এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছিল ইসির কাছে। তবে, সিইসিকে চিঠি দিয়ে ভোটগ্রহণের দিন এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকলধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বি.চৌধুরী।

গত ৮ নভেম্বর ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ওই তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন ছিল ১৯ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ছিল ২২ নভেম্বর এবং ২৯ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি