বাংলাদেশ

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছেন। রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দায়ের করেন তার আইনজীবীরা।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন জমা দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে জামিনের আবেদনও রয়েছে। এই মামলায় অবৈধ ও অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিল করে সাজা বাতিল ও খলাস চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের কোনও একটি বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।’

খালেদা জিয়ার আরেকজন আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির জানান, ‘নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এ আপিল দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চাওয়া হয়েছে। চ্যারিটেবল ট্রাস্টটি একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট। এটা সরকারি কোনও ট্রাস্ট ছিল না। এছাড়া এ মামলায় ক্ষমতা অপব্যবহারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটাও সত্য নয়। আপিলে ২০ থেকে ২২টি গ্রাউন্ডে খালাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। পরে গত বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার্টিফায়েড কপি বুঝে নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২জন সাক্ষী। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় সংস্থাটি।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি