বাংলাদেশ

জুনের মধ্যেই ঢাকা-সিলেট চার লেনের কাজ শুরু

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমার চ্যালেঞ্জ হবে চলমান কাজগুলো সমাপ্ত করার পাশাপাশি আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ রোড প্রজেক্ট। একটা হলো ঢাকা সিলেট আরেকটা হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার চার লেনের কাজ। এই দুটি খুবই ইমপোরটেন্ট। এই বছরের জুনের আগে বিশেষ করে ঢাকা সিলেট চার লেনের কাজ শুরু হবে। আর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারেরটা একটু সময় লাগবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক যখন চলে গেল তখন আপনারা ভাবতে পারতেন পদ্মা সেতু হবে? হচ্ছে তো। আপনারা ভাবতে পারতেন মেট্রোরেল হবে? হচ্ছে তো। অসম্ভবের কিছু নেই। আই লাভ দ্য ইমপসিবল।

তিনি বলেন, এদেশে মেট্রোরেল হবে কেউ কি ভেবেছিল? সেটা হচ্ছে তো। কর্নফূলী টানেলে ফান্ডিং নেই, ভেবেছিল এটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বন্ধ হয়নি। কাজ চলছে। অলরেডি চট্টগ্রামে বোডিং মেশিনও চলে এসেছে। কাজেই হবে, হবে না এমন নয়। ফলে আই লাভ দ্য ইমপসিবল, আই ইনজয় দ্য চ্যালেঞ্জ। তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, এই দুটি বিষয় আমার প্রধান অগ্রাধীকার। কারণ সড়ক এবং পরিবহনে শৃঙ্খলাটা জিয়ে রেখে যত কাজই করি না কেনো তাতে কোনো লাভ হবে না। আট লেনের রাস্তা করলাম কিন্তু শৃঙ্খলা নেই সেক্ষেত্রে কোনো লাভ হবে না। আমি মন্ত্রণালয়ের বাকীদের নিয়ে বসেছি। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন। এই কাজগুলো শুরুতে করতে হবে। তাছাড়া পরে এসব করা যাবে না। প্রথম রাতেই বিড়াল মারার মতো কাজ সেরে ফেলতে হবে।

কিভাবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন এজন্য কোনো ফরমেট তৈরি করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিভাবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো সেটাতো আমার নিজস্ব কিছু কৌশল আছে। আর এগুলো জেনারেল কিছু বিষয় আছে যা সবার জানা। ছোট ছোট যানগুলো হাইওয়েতে চলছে, লাইসেন্সবিহীন ছোট ছোট গাড়ি চলছে এসব বেশি বিশৃঙ্খলা।

মোটরসাইকেল একটি নতুন আতঙ্ক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তবে ঢাকা শহরে আমরা অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছি, কিন্তু ঢাকার বাইরে মোটরসাইকেলগুলো বেপরোয়া চলছে। এক মোটরসাইকেলে তিনজন চলছে, তারপর আবার লাইসেন্স বিহীন চলছে।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি