বাংলাদেশ

বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করব: ড. মোমেন

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করব। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ভুল তথ্য রয়েছে। তারা মানে করে এদেশে বিনিয়োগ করলে অনেক কর দিতে হয়। সেই ভুল দূর করার চেষ্টা করব। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অনেক ফারাক রয়েছে। বিদেশিরা এখনো মনে করে যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগের সুফল তাদের দেশে নেওয়া যায় না। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনেক কর দিতে হয়। অথচ মূল তথ্য হল, এদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশিরা সহজেই লভ্যাংশ নিজেদের দেশে নিতে পারে। তাই বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বের কাছে সঠিক উপস্থাপনের ব্যবস্থা করব।

তিনি বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের বন্ধু দেশ। তারা যদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন দেয় তবে এই সমস্যা সহজেই মিটে যাবে। তবে রোহিঙ্গা একটি সিরিয়াস ইস্যু। এটি অগ্রাধিকারমূলক একটি বিষয়। এই বিষয়ে অনেক আলাপ করতে হবে, আলাপ করে সমাধানে পৌঁছাতে হবে। এই সমস্যা সহজেই সমাধান হবে না।

আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের ফলে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত কি কি হুমকি রয়েছে তা বের করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়েরও দায়িত্ব রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে থাকলে ভারত, থাইল্যান্ড, চীনসহ বিশ্বের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে, সবার জন্য অমঙ্গল হবে, সবার স্থিতিশীলতার জন্যই রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি হুমকি।

তিনি বলেন, মহাজোট সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি, তাই দায়িত্বও অনেক বেশি। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবো। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী এবং সরকার উন্নয়নের যে রূপরেখা প্রণয়ন করেছে তা বাস্তবায়নের ওপর ফোকাস দেবো। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র অর্জনে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে কাজ করবো।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি