বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চলমান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উৎসবের লেশমাত্র নেই। গণতন্ত্রকে হত্যা করে এই তামাশার নির্বাচন করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া কমিশনের জন্য অস্বস্তিকর। সিইসি তাঁর এই বক্তব্যে স্বীকার করে নিলেন যে, জনগণ ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাঁদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। যে দেশে ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়, ভোট চুরি হয়, ভোট দিতে পারে না দেশের মানুষ; সেখানে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ধিক্কার ছাড়া অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য নয়।’
‘সিইসি জনগণকে ভোট প্রদান থেকে প্রতারিত করেছেন। তাঁর আজ্ঞাবহ জীবনদর্শনের জন্য গণতন্ত্র এখন রাহুগ্রস্ত। কাজেই জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচন কমিশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে,’ বলেন রিজভী।
অবৈধ সরকার নিজেদের আসন আরো পাকাপাকি করতে বিএনপির চেয়ারপারসনকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘অসুস্থ দেশনেত্রীকে টানাহেঁচড়া করে ঘনঘন আদালতে নিয়ে আসা, অন্ধকারাচ্ছন্ন শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে তাঁর জন্য আদালত স্থাপন করা, তাঁর পছন্দমতো চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করতে না দেওয়া, তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে না নেওয়া, সাত দিন পর পর নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া, আত্মীয়স্বজনকে দেখা করতে দিতে বিলম্ব করা, অস্বাস্থ্যকর ও কীটপতঙ্গে ভরা কারাকক্ষে থাকতে বাধ্য করা।’
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যে মামলায় অন্যরা জামিন পেয়েছেন, সেই একই মামলায় তাঁকে জামিন না দেওয়া ইত্যাদিতে প্রমাণিত হয়, সরকার দেশনেত্রীকে এক অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। সে জন্যই বেআইনিভাবে নির্দোষ খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বরের মিডনাইট নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হবে বলেই খালেদা জিয়াকে বেশ কয়েক মাস আগেই কারান্তরীণ করা হয়েছে। গণতন্ত্রের সূর্যকে অস্তগামী করার জন্যই খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। আমরা আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, এই মুহূর্তে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া কমিশনের জন্য অস্বস্তিকর। সিইসি তাঁর এই বক্তব্যে স্বীকার করে নিলেন যে, জনগণ ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাঁদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। যে দেশে ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়, ভোট চুরি হয়, ভোট দিতে পারে না দেশের মানুষ; সেখানে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ধিক্কার ছাড়া অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য নয়।’
‘সিইসি জনগণকে ভোট প্রদান থেকে প্রতারিত করেছেন। তাঁর আজ্ঞাবহ জীবনদর্শনের জন্য গণতন্ত্র এখন রাহুগ্রস্ত। কাজেই জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচন কমিশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে,’ বলেন রিজভী।
অবৈধ সরকার নিজেদের আসন আরো পাকাপাকি করতে বিএনপির চেয়ারপারসনকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘অসুস্থ দেশনেত্রীকে টানাহেঁচড়া করে ঘনঘন আদালতে নিয়ে আসা, অন্ধকারাচ্ছন্ন শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে তাঁর জন্য আদালত স্থাপন করা, তাঁর পছন্দমতো চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করতে না দেওয়া, তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে না নেওয়া, সাত দিন পর পর নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া, আত্মীয়স্বজনকে দেখা করতে দিতে বিলম্ব করা, অস্বাস্থ্যকর ও কীটপতঙ্গে ভরা কারাকক্ষে থাকতে বাধ্য করা।’
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যে মামলায় অন্যরা জামিন পেয়েছেন, সেই একই মামলায় তাঁকে জামিন না দেওয়া ইত্যাদিতে প্রমাণিত হয়, সরকার দেশনেত্রীকে এক অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। সে জন্যই বেআইনিভাবে নির্দোষ খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বরের মিডনাইট নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হবে বলেই খালেদা জিয়াকে বেশ কয়েক মাস আগেই কারান্তরীণ করা হয়েছে। গণতন্ত্রের সূর্যকে অস্তগামী করার জন্যই খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। আমরা আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, এই মুহূর্তে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি