রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম ও ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সাত দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জালাল উদ্দিন।
আসামি তাসভির উল ইসলামের পক্ষে তার আইনজীবী ঢাকা মহানগরীর সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহেসানুল হক সামাজী বলেন, তিনি অগ্নিসংযোগ করেননি বা তার কোনো অবহেলাও ছিল না। তাই কাউকে আর্থিকভাবে ক্ষতি সাধনের প্রশ্ন নেই। আসামি ভূমির মালিক নন। তাই তার ওপর ভবনের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বও নেই। ২০১৭ সালে লন্ডনে আসামির ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। উনি অসুস্থ। তাকে এখনো চেকআপের জন্য যেতে হয়। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় আমি তার জামিন প্রার্থনা করছি।
ফারুকের পক্ষে তুহিন হাওলাদার বলেন, যিনি জমির মালিক, তার দায়-দায়িত্ব তখনই শেষ হয়, যখন ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়। তখন সমস্ত দায়-দায়িত্ব ডেভেলপার কোম্পানির। ২০০৮ সালের ওই ভবনে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন এ আসামি ওই ভবনে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা নেই জানিয়ে থানায় জিডি করেছিলেন। আমি এখানে বসবাস করি, আমার ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। আমি কেন আগুন লাগাব। আর একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে যা করার আমি তাই করেছি আমার কোনো অপরাধ নেই। দুই আসামির পক্ষেই তার আইনজীবীরা চিকিৎসার আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার আদেশ দেওয়া হয়। গত ৩১ মার্চ আসামিদের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত গত ৩০ মার্চ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল ও রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামিকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতদেরও আসামি করা হয়েছে।
মামলার দায়ের পর ওইদিনই রাতে তাসভির উল ইসলাম ও এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
মামলায় নকশাবহির্ভূত ভবনের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম এবং ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। রূপায়ন গ্রুপ হলো ডেভেলপার কোম্পানি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফ আর) টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন।
সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সাত দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জালাল উদ্দিন।
আসামি তাসভির উল ইসলামের পক্ষে তার আইনজীবী ঢাকা মহানগরীর সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহেসানুল হক সামাজী বলেন, তিনি অগ্নিসংযোগ করেননি বা তার কোনো অবহেলাও ছিল না। তাই কাউকে আর্থিকভাবে ক্ষতি সাধনের প্রশ্ন নেই। আসামি ভূমির মালিক নন। তাই তার ওপর ভবনের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বও নেই। ২০১৭ সালে লন্ডনে আসামির ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। উনি অসুস্থ। তাকে এখনো চেকআপের জন্য যেতে হয়। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় আমি তার জামিন প্রার্থনা করছি।
ফারুকের পক্ষে তুহিন হাওলাদার বলেন, যিনি জমির মালিক, তার দায়-দায়িত্ব তখনই শেষ হয়, যখন ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়। তখন সমস্ত দায়-দায়িত্ব ডেভেলপার কোম্পানির। ২০০৮ সালের ওই ভবনে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন এ আসামি ওই ভবনে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা নেই জানিয়ে থানায় জিডি করেছিলেন। আমি এখানে বসবাস করি, আমার ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। আমি কেন আগুন লাগাব। আর একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে যা করার আমি তাই করেছি আমার কোনো অপরাধ নেই। দুই আসামির পক্ষেই তার আইনজীবীরা চিকিৎসার আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার আদেশ দেওয়া হয়। গত ৩১ মার্চ আসামিদের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত গত ৩০ মার্চ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল ও রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামিকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতদেরও আসামি করা হয়েছে।
মামলার দায়ের পর ওইদিনই রাতে তাসভির উল ইসলাম ও এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
মামলায় নকশাবহির্ভূত ভবনের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম এবং ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। রূপায়ন গ্রুপ হলো ডেভেলপার কোম্পানি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফ আর) টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন।