রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বহুল আলোচিত দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওই ঘটনায় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি একসময় বুয়েট ছাত্রদল থেকে নাকি নির্বাচিত ভিপিও ছিলেন। তাকে সেখান থেকে সরানোও হয়েছে।
সোমবার সংসদে চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধীদলীয় সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে সম্পূরক বাজেটের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকের তারল্য সংকট নিয়ে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বলা হচ্ছে ব্যাংকে টাকা নেই। ব্যাংকে টাকা থাকবে না কেন? অবশ্যই টাকা আছে। তবে লুটে খাওয়ার টাকা নেই।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। সম্পূরক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। সেখানেও একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১৫ হাজার ১১৬ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের জন্য।
পরে আগামী ৩০ জুন সমাপ্য অর্থবছরে কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০১৯' উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। সম্পূরক বাজেটের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সংসদ সদস্যরা ২১৭টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তবে সেগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্নিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ৩৪টি মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গণপূর্তমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এ-সংক্রান্ত বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন বালিশতত্ত্ব নিয়ে এসেছেন। ওই প্রকল্পে এমন এমন লোক রয়ে গেছে (বিএনপি সমর্থক), জন্ম থেকেই তাদের চরিত্র দুর্নীতির। বালিশ নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখলাম। এত মানুষ, এত বালিশ একদিনে কিনে ফেলল কীভাবে? এই বালিশ কেনার টাকার জোগানদার কে? সেটা আর বলতে চাই না।
জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের রওশন আরা মান্নানের প্রতিবার সংসদ সদস্য হওয়ার পর একটি করে প্লট পাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সাতবারের এমপি। এ পর্যন্ত একবারও প্লট পাইনি। মাত্র একবারই একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি আমার দল কিনে দিয়েছিল। ওটা দিয়েছিল বলেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। প্রতিবার এমপি হলেই প্লট নিতে হবে- এটা ঠিক নয়।
বর্তমান সরকার দুর্নীতি করতে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা তার বিরুদ্ধে বহুবার হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট তার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দিয়েছিল। একটাও প্রমাণ করতে পারেনি। বিশ্বব্যাংকও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল, প্রমাণ করতে পারেনি। আমেরিকার এফবিআই ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে পৃথিবীর এমন কোনো সংস্থা নেই যে তদন্ত করেনি। কিন্তু কোনো দুর্নীতি তার বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে পারেনি। দুর্নীতির কোনো তথ্য না পেয়ে তারা বলতে বাধ্য হয়েছে, সমস্ত অভিযোগ ভুয়া।
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রশ্নে তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সরকারি চাকরিতে একবার ঢুকলে সেখান থেকে আর বের করা যায় না। তবে, দুর্নীতি দমন কমিশন এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে।
গণফোরাম সদস্য মোকাব্বির খানের সুশাসন না থাকার অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যে দল থেকে নির্বাচিত সেখানে কি কোনো শৃঙ্খলা আছে- সেটাও প্রশ্ন? যার নিজের দলে সুশাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, শৃঙ্খলা নেই, যেখানে কেউ কথা বলতে গেলেই বলা হয় খামোশ। তার থেকে কী আশা করা যায়? সুশাসন আছে বলেই আর্থসামাজিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি সরকারের সময়কালের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক খাত যারা লুট করেছে, তারা দেশান্তরি হয়েছে অথবা দুর্নীতির দায়ে মামলায় কারাগারে বন্দি।
প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট নিয়ে ভেতরে-বাইরে অনেক কথা হচ্ছে। কেউ কেউ এমনও বলছে, বাজেটে নাকি কিছুই নেই। যারা এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে কথা বলছেন, তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন- বাজেট যদি সঠিক না হবে তাহলে মাত্র ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এত উন্নতি করল কী করে?
তিনি বলেন, কেউ বলছেন যে বাজেট দিয়েছেন, বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তাহলে ২০০৮ সালে মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট আজ পাঁচ লাখ কোটি টাকার ওপরে চলে গেছে। বাস্তবায়নের দক্ষতা না থাকলে এটা সম্ভব হলো কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়। আর এই প্রাক্কলন করতে গিয়ে সঙ্গত কারণেই রাজস্ব আদায়ে খানিকটা উচ্চাভিলাষী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, সমৃদ্ধির পথে বিগত এক দশকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার গল্প অসম্ভবকে সম্ভব করা, অজেয়কে জয় করা, দুর্ভেদ্যকে ভেদ করার। উচ্চাভিলাষ না থাকলে এসব অর্জন সম্ভব হতো না। বাজেট বাস্তবায়ন, পরিসংখ্যান সবই প্রমাণ করে সরকারের লক্ষ্যসমূহ সব সময়ই বাস্তব ভিত্তিক ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট দক্ষ বলেই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে। এটা দেখে সারাবিশ্ব আজ অবাক হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এখন উন্নয়নের বিস্ময়। যেখানে যাই, সেখানেই সেই কদরটা পাই। দেশবাসী সেই সম্মানটা পায়। কাজেই অযথা কথা বলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না করাই ভালো। কাজ না করলে দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ২১ ভাগে নেমে আসত না। এটা আরও নামিয়ে আনা হবে।
সোমবার সংসদে চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধীদলীয় সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে সম্পূরক বাজেটের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকের তারল্য সংকট নিয়ে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বলা হচ্ছে ব্যাংকে টাকা নেই। ব্যাংকে টাকা থাকবে না কেন? অবশ্যই টাকা আছে। তবে লুটে খাওয়ার টাকা নেই।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। সম্পূরক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। সেখানেও একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১৫ হাজার ১১৬ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের জন্য।
পরে আগামী ৩০ জুন সমাপ্য অর্থবছরে কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০১৯' উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। সম্পূরক বাজেটের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সংসদ সদস্যরা ২১৭টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তবে সেগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্নিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ৩৪টি মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গণপূর্তমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এ-সংক্রান্ত বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন বালিশতত্ত্ব নিয়ে এসেছেন। ওই প্রকল্পে এমন এমন লোক রয়ে গেছে (বিএনপি সমর্থক), জন্ম থেকেই তাদের চরিত্র দুর্নীতির। বালিশ নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখলাম। এত মানুষ, এত বালিশ একদিনে কিনে ফেলল কীভাবে? এই বালিশ কেনার টাকার জোগানদার কে? সেটা আর বলতে চাই না।
জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের রওশন আরা মান্নানের প্রতিবার সংসদ সদস্য হওয়ার পর একটি করে প্লট পাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সাতবারের এমপি। এ পর্যন্ত একবারও প্লট পাইনি। মাত্র একবারই একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি আমার দল কিনে দিয়েছিল। ওটা দিয়েছিল বলেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। প্রতিবার এমপি হলেই প্লট নিতে হবে- এটা ঠিক নয়।
বর্তমান সরকার দুর্নীতি করতে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা তার বিরুদ্ধে বহুবার হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট তার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দিয়েছিল। একটাও প্রমাণ করতে পারেনি। বিশ্বব্যাংকও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল, প্রমাণ করতে পারেনি। আমেরিকার এফবিআই ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে পৃথিবীর এমন কোনো সংস্থা নেই যে তদন্ত করেনি। কিন্তু কোনো দুর্নীতি তার বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে পারেনি। দুর্নীতির কোনো তথ্য না পেয়ে তারা বলতে বাধ্য হয়েছে, সমস্ত অভিযোগ ভুয়া।
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রশ্নে তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সরকারি চাকরিতে একবার ঢুকলে সেখান থেকে আর বের করা যায় না। তবে, দুর্নীতি দমন কমিশন এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে।
গণফোরাম সদস্য মোকাব্বির খানের সুশাসন না থাকার অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যে দল থেকে নির্বাচিত সেখানে কি কোনো শৃঙ্খলা আছে- সেটাও প্রশ্ন? যার নিজের দলে সুশাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, শৃঙ্খলা নেই, যেখানে কেউ কথা বলতে গেলেই বলা হয় খামোশ। তার থেকে কী আশা করা যায়? সুশাসন আছে বলেই আর্থসামাজিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি সরকারের সময়কালের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক খাত যারা লুট করেছে, তারা দেশান্তরি হয়েছে অথবা দুর্নীতির দায়ে মামলায় কারাগারে বন্দি।
প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট নিয়ে ভেতরে-বাইরে অনেক কথা হচ্ছে। কেউ কেউ এমনও বলছে, বাজেটে নাকি কিছুই নেই। যারা এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে কথা বলছেন, তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন- বাজেট যদি সঠিক না হবে তাহলে মাত্র ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এত উন্নতি করল কী করে?
তিনি বলেন, কেউ বলছেন যে বাজেট দিয়েছেন, বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তাহলে ২০০৮ সালে মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট আজ পাঁচ লাখ কোটি টাকার ওপরে চলে গেছে। বাস্তবায়নের দক্ষতা না থাকলে এটা সম্ভব হলো কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়। আর এই প্রাক্কলন করতে গিয়ে সঙ্গত কারণেই রাজস্ব আদায়ে খানিকটা উচ্চাভিলাষী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, সমৃদ্ধির পথে বিগত এক দশকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার গল্প অসম্ভবকে সম্ভব করা, অজেয়কে জয় করা, দুর্ভেদ্যকে ভেদ করার। উচ্চাভিলাষ না থাকলে এসব অর্জন সম্ভব হতো না। বাজেট বাস্তবায়ন, পরিসংখ্যান সবই প্রমাণ করে সরকারের লক্ষ্যসমূহ সব সময়ই বাস্তব ভিত্তিক ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট দক্ষ বলেই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে। এটা দেখে সারাবিশ্ব আজ অবাক হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এখন উন্নয়নের বিস্ময়। যেখানে যাই, সেখানেই সেই কদরটা পাই। দেশবাসী সেই সম্মানটা পায়। কাজেই অযথা কথা বলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না করাই ভালো। কাজ না করলে দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ২১ ভাগে নেমে আসত না। এটা আরও নামিয়ে আনা হবে।