জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশের ঘটনাকে রহস্যজনক এবং নজিরবিহীন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আদালতকে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অথচ ছাত্রদলের বিষয়ে এখন পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে তা আইনসম্মতভাবেই হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্রদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই নিয়েছেন। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই পারেন এই সিদ্ধান্ত নিতে, তিনি নিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ লিগ্যাল। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে কোনোটাই বেআইনি হয়নি, সবকিছুই আইনসম্মত হয়েছে। ছাত্রদলের কাউন্সিলের বিষয় কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ছাত্রদলের বিষয়। ছাত্রদলের বিষয়ে তারা আলোচনা করছে। তাদের সিদ্ধান্ত তারা নেবে। আমরা বিএনপি এর সঙ্গে কোনো মতেই জড়িত নই।
একইসাথে বিএনপিকে পক্ষ করে আদালত যে কারণ দশানোর নোটিস দিয়েছে তার জবাব দেবে বলে জানান ফখরুল। আমাদের বিরুদ্ধে যেমন আমাদেরকে পক্ষ করা হয়েছে। আমরা আমাদের উত্তরগুলো আদালতের কাছে যথা সময়ে দেবো। সেই ব্যবস্থা নেবো। তবে ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত ছাত্রদলই নেবে, এখন যারা দায়িত্বে আছে তারাই বলবে।
শনিবার ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণের কথা ছিলো। সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে কাউন্সিলর কার্ড বিতরণের সময়কালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির বিদায়ী সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহর একটি আবেদনে বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র সহকারি জজ এই স্থগিতাদেশ দেন। এরপর শুক্রবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের এই বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন, এজে মোহাম্মদ আলী, নিতাই রায় চৌধুরী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, ওমর ফারুক ফারুকী, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এবং সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সরকার কী চায়? এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে সকলের অগোচরেই আদালতের এই স্থগিতাদেশ এসেছে। যেটা রহস্যজনক। বুঝা যায় এখানে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপ আছে, হস্তক্ষেপ আছে বলেই এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, তাদের জবাবদিহিতা নেই তারা কী চান? তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কী গণতন্ত্রের একটা ন্যূনতম যে পরিস্থিতি-পরিবেশ থাকুক, না সেটা তারা চান না। দুঃখজনকভাবে তারা ব্যবহার করছেন আদালতকে। যেটা কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক কোনো রাষ্ট্রের জন্য, জাতির ভবিষ্যতের জন্য শুভ হতে পারে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বর্তমান সরকার যে একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করছে, এই সংস্কৃতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আদালতকে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেটা আমি মনে করি যে, অত্যন্ত ভয়াবহ একটা বিষয়। দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম যে, গত ১০ বছর ধরে এই কাজটি তারা করলেন। তারা আদালতকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, যেটা বাংলাদেশের মানুষের একটা গ্রহণযোগ্যা শুধু না, একটা আশা-আকাংখার স্থান ছিলো যে, এই একটা দিন অন্ততঃ আমরা ভোটটা দিতে পারবো। এটা তাদেরই নিয়ে আসা, তারাই এই কেয়ারটেকার ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন তারাই আবার আদালতকে ব্যবহার করে কেয়ার টেকার সিষ্টেম থেকে সরে গেলেন এবং দেশ ও জাতিকে স্থায়ীভাবে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার দিকে তারা ঠেলে দিলেন। যেটা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন এটা আজকে প্রমাণিত হলো।
তিনি বলেন, এই সরকার আদালতকে ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন রকমের আইন-কানুন তৈরি করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। বিগত নির্বাচনের সময় কত জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছে। কীভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের মেয়র তাদের প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়া হয়েছে যেটা আইনের মধ্যে একরকম আছে সেটাকে আদালতের মাধ্যমে বাতিল করে দেয়া হয়েছে। মেয়রদের বেলা আইনে বলা আছে তারা নির্বাচন করতে পারেন তবে নির্বাচিত হলে তারা ছেড়ে দেবেন। এটাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে তারা অন্য কাজ করেছেন। এই যে আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আদালতকে দলীয়করণের দিকে নিয়ে যাওয়া-এটা দেশের জন্য ও জাতির জন্য শুভ কোনো কিছু বয়ে আনতে পারে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদল একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারা পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে যাচ্ছে কাউন্সিলের মাধ্যমে। আজকে কাউন্সিল স্থগিত করার মানে কী? আপনি রাজনৈতিক দলের কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন- এটা নজিরবিহীন। আপনাদের মনে থাকা উচিত, ১/১১’র পরে আমাদের দলের সেক্রেটারি জেনারেল পদ নিয়ে কোর্টে গিয়েছিলো। কোর্ট ওই সময়ে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলো যে, কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আমরা দেখিনি যে, রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম আদালতে যুক্ত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্রদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই নিয়েছেন। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই পারেন এই সিদ্ধান্ত নিতে, তিনি নিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ লিগ্যাল। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে কোনোটাই বেআইনি হয়নি, সবকিছুই আইনসম্মত হয়েছে। ছাত্রদলের কাউন্সিলের বিষয় কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ছাত্রদলের বিষয়। ছাত্রদলের বিষয়ে তারা আলোচনা করছে। তাদের সিদ্ধান্ত তারা নেবে। আমরা বিএনপি এর সঙ্গে কোনো মতেই জড়িত নই।
একইসাথে বিএনপিকে পক্ষ করে আদালত যে কারণ দশানোর নোটিস দিয়েছে তার জবাব দেবে বলে জানান ফখরুল। আমাদের বিরুদ্ধে যেমন আমাদেরকে পক্ষ করা হয়েছে। আমরা আমাদের উত্তরগুলো আদালতের কাছে যথা সময়ে দেবো। সেই ব্যবস্থা নেবো। তবে ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত ছাত্রদলই নেবে, এখন যারা দায়িত্বে আছে তারাই বলবে।
শনিবার ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণের কথা ছিলো। সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে কাউন্সিলর কার্ড বিতরণের সময়কালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির বিদায়ী সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহর একটি আবেদনে বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র সহকারি জজ এই স্থগিতাদেশ দেন। এরপর শুক্রবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের এই বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন, এজে মোহাম্মদ আলী, নিতাই রায় চৌধুরী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, ওমর ফারুক ফারুকী, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এবং সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সরকার কী চায়? এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে সকলের অগোচরেই আদালতের এই স্থগিতাদেশ এসেছে। যেটা রহস্যজনক। বুঝা যায় এখানে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপ আছে, হস্তক্ষেপ আছে বলেই এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, তাদের জবাবদিহিতা নেই তারা কী চান? তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কী গণতন্ত্রের একটা ন্যূনতম যে পরিস্থিতি-পরিবেশ থাকুক, না সেটা তারা চান না। দুঃখজনকভাবে তারা ব্যবহার করছেন আদালতকে। যেটা কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক কোনো রাষ্ট্রের জন্য, জাতির ভবিষ্যতের জন্য শুভ হতে পারে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বর্তমান সরকার যে একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করছে, এই সংস্কৃতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আদালতকে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেটা আমি মনে করি যে, অত্যন্ত ভয়াবহ একটা বিষয়। দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম যে, গত ১০ বছর ধরে এই কাজটি তারা করলেন। তারা আদালতকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, যেটা বাংলাদেশের মানুষের একটা গ্রহণযোগ্যা শুধু না, একটা আশা-আকাংখার স্থান ছিলো যে, এই একটা দিন অন্ততঃ আমরা ভোটটা দিতে পারবো। এটা তাদেরই নিয়ে আসা, তারাই এই কেয়ারটেকার ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন তারাই আবার আদালতকে ব্যবহার করে কেয়ার টেকার সিষ্টেম থেকে সরে গেলেন এবং দেশ ও জাতিকে স্থায়ীভাবে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার দিকে তারা ঠেলে দিলেন। যেটা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন এটা আজকে প্রমাণিত হলো।
তিনি বলেন, এই সরকার আদালতকে ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন রকমের আইন-কানুন তৈরি করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। বিগত নির্বাচনের সময় কত জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছে। কীভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের মেয়র তাদের প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়া হয়েছে যেটা আইনের মধ্যে একরকম আছে সেটাকে আদালতের মাধ্যমে বাতিল করে দেয়া হয়েছে। মেয়রদের বেলা আইনে বলা আছে তারা নির্বাচন করতে পারেন তবে নির্বাচিত হলে তারা ছেড়ে দেবেন। এটাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে তারা অন্য কাজ করেছেন। এই যে আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আদালতকে দলীয়করণের দিকে নিয়ে যাওয়া-এটা দেশের জন্য ও জাতির জন্য শুভ কোনো কিছু বয়ে আনতে পারে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদল একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারা পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে যাচ্ছে কাউন্সিলের মাধ্যমে। আজকে কাউন্সিল স্থগিত করার মানে কী? আপনি রাজনৈতিক দলের কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন- এটা নজিরবিহীন। আপনাদের মনে থাকা উচিত, ১/১১’র পরে আমাদের দলের সেক্রেটারি জেনারেল পদ নিয়ে কোর্টে গিয়েছিলো। কোর্ট ওই সময়ে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলো যে, কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আমরা দেখিনি যে, রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম আদালতে যুক্ত হচ্ছে।