বাংলাদেশ

বৃষ্টিতে রাজধানীতে তীব্র ভোগান্তি

আবহাওয়া অফিসের হিসাবে রোববার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৭ মিলিমিটার। দিনের প্রথমার্ধে বৃষ্টির দেখা না মিললেও দুপুরের পর হয়েছে এই বৃষ্টিপাত। আর তাতেই নগরবাসীর জীবনে যুক্ত হয় সীমাহীন ভোগান্তি। অনেক স্থানে পানি জমে একাকার হয়ে যায় কাদামাটি। প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতেও ছড়িয়ে পড়ে যানজট। অফিস শেষে ঘরমুখো মানুষকে পড়তে হয় মহাযন্ত্রণায়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা ও কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠতে পারে ৮০ কিলোমিটার। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

রোববার দুপুরের পরপরই আকস্মিকভাবে মুষলধারায় বর্ষণ শুরু হয় রাজধানীতে। বর্ষণের মাত্রা কিছু সময় পর কমলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়তেই থাকে। ততক্ষণে সচিবালয়ের ভেতরেও পানি জমে যায়। মেট্রোরেলের খোঁড়াখুঁড়ির কারণে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, রোকেয়া সরণিসহ প্রকল্প এলাকার রাস্তাগুলো কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারগুলোও তাদের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। অনেক স্থানে ম্যানহোলে চাকা ঢুকে রিকশা উল্টে গিয়ে যাত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। উৎকট পরিবেশ তৈরি হয় কাঁচাবাজারগুলোতে। প্রধান সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।