জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকলে বাংলাদেশ অনেক বেশি লাভবান হবে।
তিনি বলেন, ভারতের অনেকগুলো রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহ্যগতভাবেই সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত মিল রয়েছে। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার বন্ধন রয়েছে- বন্ধু প্রতীম দুটি দেশের মানুষের মাঝে। বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সীমান্তবর্তী সন্ত্রাস নির্মূল হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর শান্তিনগরে হোয়াইট হাউজ হোটেলে সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
সার্ক কালচারাল সোসাইটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার শ্রী রেবতী মোহন দাস। অনুষ্ঠানে আশীষ কুমার সাহা ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় বক্তৃতা করেন।
এসময় সার্ক কালর্চার্যাল সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এটিএম মমতাজুল করিম, সাধারণ সম্পাদক সুজন দে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নূরুল আজহার, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনব সরকার, ত্রিপুরার সিনিয়র সাংবাদিক শানিত দেবরায়, ভারত বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদ কার্যকরী সদস্য জয়ন্ত ভট্টচার্য, মোসাহিদ আলী, মোস্তফা কামাল, কল্যাণ গুপ্ত, অসিত ভৌমিক, দিনেশ চন্দ্র সরকার উপস্থিত ছিলেন।
জিএম কাদের বলেন, আসামের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি অব সিটিজেন্স বা এনআরসি বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে বলেছে-এর কোন বিরুপ প্রভাব বাংলাদেশে পড়বেনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও বারবার বলেছেন এনআরসির প্রভাব বাংলাদেশে পড়বেনা। আমরা লক্ষ্য করছি, এরআরসির কোন প্রভাব এখনো বাংলাদেশে পড়েনি। আমরা আস্থাশীল এনআরসির প্রভাব বাংলাদেশে পড়বেনা।
ত্রিপুরা বিধান সভার স্পিকার শ্রী রেবতী মোহন দাস বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের ৮০ ভাগ সীমান্ত বাংলাদেশের সাথে। ত্রিপুরা সব সময় বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশকে পাশে পেয়েছে। বাংলাদেশের সাথে ত্রিপুরার সম্পর্ক আরো গভীর করতে ত্রিপুরা সব সময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।