বাংলাদেশ

ত্রাণ আত্মসাতের দায়ে একই ইউনিয়নের ৭ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত

ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছয় সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২০ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এ নিয়ে ৬৬ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ২১ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪২ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য এবং ২ জন পৌর কাউন্সিলর।

বুধবার যাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- গোপালপুর ইউপির চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান, ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ওবায়দুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ডের মো. বাকিয়ার রহমান, ৪ নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম শেখ, ৫ নং ওয়ার্ডের মো. রেজাউল করিম, ৯ নং ওয়ার্ডের মো. অলিয়ার রহমান এবং ৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য মোসা. স্বপ্না বেগম।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফরিদপুর জেলার গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর দেওয়ার নামে অর্থ আদায়, এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং ইউপি ট্যাক্সের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। উল্লিখিত ছয়জনের নামেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, ভিজিডির চাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। তাদের এই অপরাধ কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর অনুরোধ করা  হয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন