বাংলাদেশ

চার হাসপাতালে ঘুরে বিনা চিকিৎসায় সিলেটে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর মৃত্যু

সিলেটে করোনা সন্দেহে বেসরকারী হাসপাতালগুলো সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া থেকে বিরত রয়েছে। এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষের। এ পর্যন্ত সিলেটে ২ জন মহিলাসহ ৪জন মারা গেছেন চিকিৎসা না পেয়ে। হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্টের কোন রোগীকে এইসব বেসরকারী হাসপাতাল।
গত ১ লা জুন সিলেট নগরীর পশ্চিম কাজিরবাজার মোগলটুলা এলাকার বাসিন্দা সংকটাপন্ন একজন মহিলা বিনা চিকিৎসায় মারা যান। নগরীর ৫টি হাসাতালের সংশ্লিস্ট ডাক্তারদের কাকুতি-মিনতি করেও ভর্তি করাতেপারেননি তার স্বজনরা।অবশেষে রাত প্রায় আড়াইটার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই ঘটনা ঘটে আজ শুক্রবার (৫জুন) সিলেটের বন্দরবাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আর এল ইলেকট্রনিক্সের মালিক ইকবাল হোসেনের ক্ষেত্রে। শুক্রবার ভোর রাতে ইকবাল হোসেনের বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে দ্রুত এম্বুলেন্স ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পর নিয়ে যাওয়া হয় পর পর কয়েকটি হাসপাতাল কিন্তু কেউ তাকে রাখেনি অবশেষে ইকবাল হোসেন মৃত্যুকোলে ঢলে পড়েন।

ইকবাল হোসেনের ছেলে তিহাম জানান, শুক্রবার ভোররাতে তার বাবার হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন।তারা জরুরী ভিত্তিতে একটি এম্বুলেন্স কল করে এনে প্রথমে নগরীর সুবহানীঘাটে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে যান সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং অন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাবার কথা বলেন। ডাক্তারের কথামত ওই ক্লিনিকেও নিয়ে যান সেখানে নেয়ার পর ডিউটিতে থাকা নার্স বলেন এখানে সিট নেই আপনার সামসুদ্দিনে যান।
সেখান থেকে শহিদ সামসুদ্দিন হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে দরজায় প্রায় ১০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর ভেতর থেকে একজন এসে বলে সবাই ঘুমে, আপনারা ওসমানী হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ওসমানী হাসপাতালে গেলাম সেখানে গিয়েও একই অবস্থা। জরুরী বিভাগ গেলাম সেখানের ডাক্তার বলেন দু’তলায় সিসিউতে যান, সিসিউতে যাওয়ার পর উনারা বারান্দায় শুয়ে রেখে বলে এক্সে করে নিয়ে আসেন এর কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বলেন আমার বাবা নেই।

সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে প্রত্যেক হাসপাতালে যেন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়। অথচ সিলেটের সেরকারী হাসপাতালগুলো এসব বিধি-বিধানের কোন তোয়াক্কা করছে না।
সাধারণ মানুষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।


এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন